বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ পা ৩। সু ২৩ ৷ ] বিভূতি পাদ। . 8》. নিরুপক্রম। এইরূপে ঐকভবিক অর্থাৎ এক জন্মে শেষ হইতে পারে এমত পুৰ্ব্বজন্ম অর্জিত ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মরূপ কৰ্ম্ম সোপক্রম এবং নিরুপক্রমভাবে দুই প্রকার, ইহাতে সংযম করিলে মরণজ্ঞান হয়। মরণজ্ঞানের আর একটা কারণ অরিষ্ট অর্থাৎ মৃত্যুচিকু দর্শন। সেই অরিষ্ট তিন প্রকার আধ্যাত্মিক, আধিভৌতিক ও আধিদৈবিক, কর্ণে অঙ্গুলি প্রদান করিলে আধ্যাত্মিক অর্থাৎ স্বদেহের শব্দ শুনা যায় না ; অঙ্গুলি দ্বারা চক্ষুঃ ঘুৱাইলে নেত্রের জ্যোতিঃ দর্শন হয় না। আধিভৌতিক যথা, যমদূত দর্শন হয়, সহসপিতৃলোক দৰ্শন হয়। আধিদৈবিক যথা, অকস্মাৎ স্বৰ্গ বা সিদ্ধপুরুষগণ দর্শন হয়, বিশ্বসংসার বিপরীত ভাবে দৃষ্ট হয়, ( পশ্চিমে স্বৰ্য্য উদয় হয় ইত্যাদি ) এই সমস্ত কারণেও মরণ উপস্থিত হইয়াছে জানা যায় ॥ ২২ ॥ মন্তব্য। পরের প্রজাপতির অন্তকে পরান্ত অর্থাৎ মহাপ্রলয় বলে, অপর অর্থাৎ মনুষ্যের অস্তকে অপরান্ত মরণ বলে। এক শরীর দ্বারা প্রারব্ধ কৰ্ম্মের ভোগ শীঘ্র হইতে পারে না, অথচ সংযম দ্বারা জানা যায় কৰ্ম্ম (প্রারব্ধ) ফলদান করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছে, এরূপ অবস্থায় যোগের দ্বারা বহু শরীর ধারণ • করিয়া সমস্ত প্রারব্ধ ভোগ করিয়া অচিরাৎ মুক্ত হওয়া যায়। অরির (শত্রুর ) দ্যায় যে ত্রাস জন্মায় তাহাকে অরিষ্ট বলে। বশিষ্ঠ মার্কণ্ডেয় প্রভৃতি ঋষিগণ অরিষ্ট সকল বর্ণনা করিয়াছেন। নীতি শাস্ত্রে উল্লেখ আছে। “দীপনির্বাণগন্ধঞ্চ মুহৃস্বাক্যমরুন্ধতীম্। ন জিন্দ্রপ্তি ন শৃন্বন্তি ন পশুস্তি গতায়ুষ”। অর্থাৎ আসন্নমূতু ব্যক্তিগণ দীপনিৰ্ব্বাণগন্ধ পায় না, স্বহৃস্বাক্য শ্রবণ করে না ও অরুন্ধতী নক্ষত্র দর্শন করিতে পারে না। অরিষ্ট চিত্ত্ব ষ্টুতে সাধারণেও উপস্থিত মরণ বুঝিতে পারে, বােগিগণ নিঃসন্দেহরূপে শীঘ্রই জানিতে পারেন, এইটী বিশেষ ॥ ২২ ॥ সুত্র। মৈত্র্যাদিষু বলানি ॥ ২৩। ব্যাখ্যা। মৈত্র্যাদিষু (মৈত্রীকরুণামুদিতেষু) বলানি (উক্তেষু সংঘমাং তত্তৰিষয়বীৰ্য্যাণি ভৰস্তি, তথাচ সংযমী প্রাণিনাং সুখদাত, দুঃখহর্তা অপক্ষপাতীচ স্তাদিত্যৰ্থঃ) ২৩। তাৎপৰ্য্য। প্রথম পাদোক্ত মৈত্রী করুণা ও মুদিতারূপ চিত্রগ্রানের wo