পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

있8한 পাতঞ্জল দর্শন । [পী ৩। সু ২৩ । ] উপায় তিনটীতে সংযম করিলে সেই সেই বিষয়ে অমোঘ শক্তি জন্মে, যাহা হইলে ইচ্ছামাত্রেই যোগিগণ প্রাণিমাত্রের সুখদান হুঃখহরণ ইত্যাদি অনায়াসেই করিতে পারেন ॥ ২৩ ॥ - ভাষ্য। মৈত্রী করুণা মুদিতেতি তিস্রোভাবনা, তত্র ভূতেষু স্বখিতেষু মৈত্রীং ভাবয়িত্ন মৈত্রীবলং লভতে, দুঃখিতেষু করুণাং ভায়িত্ব করুণাবলং লভতে, পুণ্যশীলেষু মুদিতাং ভাবয়িত্ব মুদিত বলং লভতে, ভাবনাতঃ সমাধির্য্য: স সংযমঃ ততো বলান্ত্যবন্ধ্য বীৰ্য্যাণি জায়ন্তে, পাপশীলেষু উপেক্ষ নতু ভাবনা, ততশ্চ তস্যাং নাস্তি সমাধিরিতি, অতোন বলমুপেক্ষাতস্তত্র সংযমাভাবাদিতি ॥২৩ অনুবাদ। পূৰ্ব্বে মৈত্রী, করুণা ও মুদিত এই তিনটা ভাবনা (চিন্তনা) উক্ত হইয়াছে, তাহার মধ্যে মুখী ব্যক্তিগণের প্রতি মৈত্রী ( বন্ধুতা ) ভাবনা করিয়া মৈত্রী-বল লাভ করা যায়। দুঃখিতগণের প্রতি করুণা ( দয়া ) ভাবনা করিয়া করুণা বল লাভ হয়, পুণ্যশীল ধাৰ্ম্মিকগণের প্রতি মুদিত (হর্ষ) ভাবনা করিয়া মুদিত বল লাভ হয়, ভাবনা হইতে জায়মান সমাধিরূপ সংযম । হইতে উক্ত বলগুলি অবন্ধাবীৰ্য্য অর্থাৎ অব্যর্থরূপে উৎপন্ন হয়। পাপাত্মাগণের প্রতি উপেক্ষার বিধান আছে, ভাবনার বিধান নাই, সুতরাং তাহাতে সমাধিও নাই, অতএব উপেক্ষ বিষয়ে কোনও বল লাভ হয় না, যেহেতু তাহাতে সংযমের অভাব আছে ॥ ২৩ ॥ মন্তব্য। সংযমশীল যোগিগণ মৈত্রী-ভাবনায় লোকের সুখদান, করুণাভাবনায় দুঃখহরণ ও মুদিতা-ভাবনায় অপক্ষপাত সম্পাদন করেন। কেবলু ভাবনা হইতেই বীৰ্য্য লাভ হয় না, কিন্তু তদ্বিষয়ে সংযম করা আবশ্বক, তাই বলা হইয়াছে “ভাবনাতঃ সমাধির্য: স সংযমঃ” ইতি, কেবল সমাধিকে সংযম না বলিলেও সমাধির পরক্ষণেই সিদ্ধিলাভ হয় বলিয়া সমাধিকেই সংযম বল গিয়াছে, অর্থাৎ সমাধি বল্লায় ধারণা ও ধ্যান বলা হইয়াছে বুঝিতে হইবে, কারণ উহ ন হইলে সমাধিও হয় না। বাৰ্ত্তিককার “ভাবনাসমাধিঃ” এইরূপ পাঠ স্বীকার করিয়া ভাবনা অর্থাৎ চিন্তনাকেই সমাধি বলিয়া নির্দেশ ..विँश्ांप्ाले ॥ २७॥ ,