পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পা ১। সূ২। ] সমাধি পাদ । • సా ( আত্মার ) ভেদজ্ঞানময় হয়, এই অবস্থায় ধৰ্ম্মমেঘসমাধি ( প্রকৃষ্ট শুক্লধৰ্ম্মকে যে প্রসব করে ) হইষ থাকে। এই ধৰ্ম্মমেঘসমাধি পৰ্য্যন্ত অবস্থাকে যোগিগণ পরপ্রসংখ্যান অর্থাৎ তত্বজ্ঞানরূপ বিবেক খ্যাতির পরাকাষ্ঠী বলিয়া থাকেন। চিতিশক্তি অর্থাৎ পুরুষ (আত্মা ) অপবিণামিনী, পূৰ্ব্ব ধৰ্ম্মের তিরোধান হইয়া ধম্মান্তর উৎপত্তিরূপ পরিণাম (বিকার ) রচিত, অতএব ইঙ্গার প্রতি সংক্রম ( সঞ্চার, বিষযদেশে গমন ); নাই, চিন্তই বিষযরূপে পরিণত হইয়৷ পুরুষকে বিষয় প্রদশন করে বলিয়া পুকষকে দশিত বিষয় (র্যাহার উদ্দেশে বিষয় দেখান হয় ) বলা যায়, এই কারণে পুরুষ শুদ্ধ (বিকারাদি দে{ষরহিত ) এবং অনন্ত ( ক্ষয়রহিত) বলিয়া কথিত হয। পূৰ্ব্বোক্ত বিবেকথ্যাতি সত্বগুণের কার্য্য বলিয়া তদাত্মক, সুতরাং তাহাতে বিকাবাদি দোষ আছে, অতএব উহা চিতিশক্তি হইতে সম্পূর্ণ বিপরীত। এই নিমিত্ত চিত্ত উক্ত বিবেকখ্যাতিতে বিরক্ত হইয় পূৰ্ব্বোক্ত বিবেকখাতিকেও নিরোধ করে, উক্ত নিরুদ্ধাবস্থা , অবলম্বন করিয়া কেবল তৎসংস্কারমাত্ররূপে অবস্থান করে। ক্লেশাদি সমস্ত বীজ তিরোহিত হয় বলিয়া ইহাকে নিৰ্ব্বীজসমাধি ও কোন ও বিষয় প্রকাশ পাষ না বলিয়া ইহাকে অসম্প্রজ্ঞাত সমাধিও বলিযা থাকে। পূৰ্ব্বোক্ত চিত্তবৃত্তিনিরোধকপ যোগ এই ভাবে সম্প্রজ্ঞাত ও অসম্প্রজ্ঞাত ভেদে দ্বিবিধ হইয়া থাকে ॥ ২ ॥ মন্তব্য। চিত্তরভিনিরোধ এইটা যোগের লক্ষণ, এই লক্ষণেব লক্ষ্য দুইটা, সম্প্রজ্ঞাত ও অসম্প্রজ্ঞাত, লক্ষণে সৰ্ব্বশব্দের প্রবেশ অর্থাৎ সৰ্ব্বচিত্তবৃত্তিনিরোধ যোগ এইরূপ বলিলে সম্প্রজ্ঞাত সমাধিতে যোগেব লক্ষণ যায় না, সুতরাং অব্যাপ্তি ( লক্ষ্যে লক্ষণের গতি না হওয়া রূপ ) দোষের সম্ভাবনা । কারণ সম্প্রজ্ঞাতাবস্থায় চিত্তের ধোয় আকারে সাত্বিক বৃত্তি থাকে, সমস্ত বৃত্তি নিরোধ হয় না। যদি সৰ্ব্বশদের প্রবেশ করা না যায়, তবে ব্যুত্থান (ক্ষিপ্ত, মূঢ়, বিক্ষিপ্ত ) অবস্থায় ও যোগের সম্ভাবনা, কারণ তাহাতেও কোনও না কোন বৃত্তির নিরোধ আছে; কারণ বৃত্তির স্বভাব এই যে, একের আবির্ভাৰ কালে অপরের তিরোভাব হয়। এখন দেখা যাইতেছে স্বত্ৰে সৰ্ব্বশদের নিবেশ করা না করা উভয়পক্ষেই বিপদ। ইহাকেই শাস্ত্রে "উভয়ত পাশাইজ" R