পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२¢8 পাতঞ্জল দর্শন। ( পা ৩। সু৩৪ । ] সূত্র। প্রাতিভাৎ বা সর্বম্ ॥ ৩৩ ৷ ভাষ্য। প্রাতিভং নাম তারকং, তদ্বিবেকজস্ত জ্ঞানস্ত পূৰ্বরূপং যথোদয়ে প্রভা ভাস্করস্য, তেন বা সর্ববমেব জানাতি যোগী প্রাতিভস্য জ্ঞানস্তোৎপত্তাবিতি ॥ ৩৩ ॥ অনুবাদ। প্রতিভা (উহ, তৰ্ক), দুইতে উৎপন্ন অর্থাৎ উপদেশ ব্যতিরেকে স্বভাবতঃ জায়মান জ্ঞানকে প্রতিভ বলে, ঐ জ্ঞান প্রসংখ্যান জ্ঞানকে উৎপাদন করে বলিয়া সংসার হইতে তরণ করায়, অতএব উহাকে তারক বলে। সুৰ্য্যোদয়ের পূর্বরূপ প্রভার (অরুণোদয়ের) হ্যায় উহা বিবেকজ জ্ঞানের পূর্বরূপ, এই প্রাতিভজ্ঞানের উৎপত্তিতেই যোগিগণ সমস্ত বিষয় জানিতে পারেন ॥৩৩ ॥ মন্তব্য। “তারকং সৰ্ব্ববিষয়ং” এই আগামী সুত্রে যদিচ বিবেকজানকেই তারক বলা হইয়াছে, তথাপি তাহার কারণ বলিয়া প্রাতিভজ্ঞানকেও তারক বলা যায়। “উৎপৰ্ত্তেী” এই সপ্তমী বিভক্তি দ্বারা প্রকাশ হইয়াছে যে উহাতে অন্ত উপায়ের আবগুক নাই । সংযমসিদ্ধির প্রকরণে অন্তবিধ সিদ্ধির কথা বলা হয় নাই, কারণ, “ক্ষণতৎক্রময়োঃ সংযমাৎ বিবেকজং জ্ঞানমূ” এই স্বত্রে সংযমের ফল বিবেকজজ্ঞান বলা হইবে, সুতরাং তাহার পূর্বরূপ প্রাতিভ-জ্ঞানও সংযমসাধা বুঝিতে হইবে ॥ ৩৩ ॥ সূত্র। হৃদয়ে চিত্তসংবিদ ॥ ৩৪ ॥ ভাৰ্য্য। যদিদমস্মিন ব্রহ্মপুরে দহরং পুণ্ডরীকং বেশ্ম, তত্র বিজ্ঞানং তস্মিন সংযমাৎ চিত্তসংবিৎ ॥ ৩৪ ॥ ذه অনুবাদ । এই যে ব্ৰহ্মপুর (আত্মার গৃহ ) শরীর, ইহাতে গর্ভের আকার ক্ষুদ্র অধোমুখ হৃৎপদ্ম স্থান আছে, ইহা বেশ্ম অর্থাৎ চিত্তের অালয়, ইহাতে সংযম করিলে (সংস্কার রহিত) চিত্তজ্ঞান জন্মে ॥৩৪ ॥ মস্তৰী । চিত্তের স্থান মস্তক কি হৃদয়, এ বিষয়ে অনেকের মতভেদ স্থাছে, পাশ্চাত্য দার্শনিকগণের মতে মস্তকই চিত্তের স্থান। পাতঞ্জলমতে :চিত্তস্থান হৃদয়, এস্থান হইতে মস্তকে ব্রহ্মরন্ধে, চিত্ত-সত্বের প্রভা বিকীর্ণ