পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ>o・ পাতঞ্জল দর্শন। [পা ৩। সূ ৫৫। ] অবিদ্যা প্রভৃতি ক্লেশরপ বীজ সকল দগ্ধ হইয়া যায়, সুতরাং চিত্তে কথঞ্চিৎ পুরুষের শুদ্ধির (স্বচ্ছতার ) সদৃশ শুদ্ধি অর্থাৎ নিৰ্ম্মলতা জন্মে, বিষয়াকারে পরিণাম না হওয়াই চিত্তের শুদ্ধি, উপচরিত অর্থাৎ চিত্তবৃত্তির প্রতিবিম্ব গ্রহণরূপ ভোগের অভাবকে পুরুষের শুদ্ধি অর্থাৎ স্বরূপে অবস্থান বলে। এই অবস্থাকে কৈবল্য অর্থাৎ মুক্তি বলে।. অণিমাদি সিদ্ধি হউক বা নাই হউক, বিবেকজ তারকজান লাভ হউক বা নাই হউক (তাহার অপেক্ষ নাই), যাহার ক্লেশবীজ দগ্ধ হইয়াছে, তাহার তত্বজ্ঞানোৎপত্তিতে অন্ত কাহারও অপেক্ষা নাই। সমাধি হইতে উৎপন্ন অণিমাদি ঐশ্বৰ্য্য ও বিবেকজজ্ঞানাদির উল্লেখের কারণ উহারা চিত্তশুদ্ধি জন্মাইয়া তত্বজ্ঞানোৎপত্তির কারণ হয় । ফলকথা এই, জ্ঞান জন্মিলে আদর্শন (অবিদ্যা) নিবৃত্ত হয়, আদর্শন নিবৃত্ত হইলে উত্তরবর্তী অর্থাৎ অবিদ্যা হইতে উৎপন্ন অস্মিতা, রাগ, দ্বেষ ও অভিনিবেশ ক্লেশ থাকে না, ক্লেশ না থাকিলে ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম ও তাহার পরিণাম জাতি, আয়ুঃ ও ভোগ জন্মে না, এই অবস্থায় গুণ ( সত্ব, রজঃ তমঃ ও তাহার কার্য্য ) সকল চরিতাধিকার হয়, উহাদের অধিকার অর্থাৎ কাৰ্য্য থাকে না, ভোগ ও অপবর্গ উৎপাদন করাই প্রকৃতির কার্য্য, তত্বজ্ঞান উৎপাদন করিলে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না, সুতরাং পুনৰ্ব্বার বৃত্তি জন্মাইয়া পুরুষের ভোগ্যরূপে উপস্থিতও হয় না, ইহাকেই পুরুষের মুক্তি বলে, কারণ, তখন, পুরুষ জ্যোতিঃস্বরূপ নিৰ্ম্মল স্বভাবে অবস্থিতি করে, কেবলী হয় অর্থাৎ বুদ্ধির বৃত্তি পতিত হইয়া পুরুষের স্বচ্ছতা নষ্ট করে না। পুরুষের স্বরূপে অবস্থানই কৈবল্য। স্বত্রের ইতি শব্দে অধ্যায়ের সমাপ্তি বুঝাইয়াছে ॥ ৫৫ ৷ মন্তব্য। স্বত্রের পূর্বভাৰ্যটুকু স্বত্রের সহিত অস্বয় করিতে হইবে। ঐন্ধপু ভাষ্ককে পূরকভান্য বলা যায়। যেমন যাগের সমগ্র অনুষ্ঠান করিয়াও যদি কামনা অর্থাৎ স্বর্গাদির অভিলাষ না থাকে তবে স্বৰ্গাদি জন্মে না, তদ্রুপ বিভূতির কারণ সংযমের অনুষ্ঠান করিয়াও কামনা না করিলে পূৰ্ব্বোক্ত বিভূতি সমুদায় জন্মে না, উহ ন জন্সিলেও ক্ষতি নাই, জ্ঞান হইলেই মুক্তি হইবে, বিভূতির আবর্তক করে না i . . ভগবান গৌতম মুক্তির ক্রম এই ভাবে বলিয়াছেন, “দুঃখ-জন্ম-প্রবৃত্তি