পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇ సి)” পাতঞ্জল দর্শন । [পী ৪ । সূ ৪ । ] ( কৃষকের ) দ্যায়, যেমন ক্ষেত্রিক কোনও একটা জলপূর্ণ কেদার (ভূমি) হইতে জল লইয়া অন্ত ক্ষেত্র প্লাবন করিবার ইচ্ছুক হইয়া জলপূর্ণ ক্ষেত্রে, সমতল ক্ষেত্রে বা তাহা হইতে নিম্ন নিম্নতর ক্ষেত্রে হস্ত দ্বারা জলসিঞ্চন করে না, জল গমনের প্রতিবন্ধক (আলি প্রভৃতি) অপনোদন করে, ঐ আবরণ ভেদ হইলে জল আপন হইতেই অন্তক্ষেত্রে গমন করে, তদুপ ধৰ্ম্ম প্রকৃতির আবরণ অধৰ্ম্মকে দূর করে, ঐ অধৰ্ম্মরূপ প্রতিবন্ধক দূর হইলে প্রকৃতি সকল আপন হইতে স্ব স্ব কার্য্যের অমুকুল হয়, অর্থাৎ প্রকৃত সকল তত্তং কাৰ্য্যরূপে পরিণত হয়। যেমন সেই কৃষক উক্ত ধান্তক্ষেত্রে ধান্তমূলে পার্থিব রস প্রবেশ করাইতে পারে না, কিন্তু মুগ, গবেথুক (গড়গড়ে) ও শুামাক প্রভৃতি তৃণ সকল ঐ ক্ষেত্র হইতে উৎপাটন করিয়া ফেলে, ঐ সমস্ত প্রতিবন্ধক তৃণ অপনীত হইলে পার্থিব রস আপন হইতে ধান্তমূলে প্রবেশ করে, সেইরূপ ধৰ্ম্ম কেবল অধৰ্ম্মের নিবৃত্তিরই কারণ হয়, কারণ, শুদ্ধি ও অশুদ্ধি অত্যন্ত বিরুদ্ধ পদার্থ, যেখানে শুদ্ধি (ধৰ্ম্ম ) থাকে সেখানে অশুদ্ধি (অধৰ্ম্ম ) থাকিতে পারে না। ধৰ্ম্ম প্রকৃতির প্রবর্তনার হেতু হয় না, অধৰ্ম্মের অভিভব করে মাত্র, এ বিষয়ে নন্দীশ্বর প্রভৃতি দৃষ্টান্ত । ইহার বিপরীতে অধৰ্ম্ম ধৰ্ম্মের বাধা জন্মায়, তখন অশুদ্ধি পরিণাম অর্থাৎ অজ্ঞান বহুল (তিৰ্য্যক্ প্রভৃতি) জন্ম হয়, এ বিষয়ে নহুষ অজগর প্রভৃতি দৃষ্টান্ত ॥৩ ॥ • মন্তব্য। নিরীশ্বর সাংখ্যমতে অনাগতাবস্থ ( ভবিষ্যৎ ) পুরুমার্থ ভোগ ও অপবর্গই প্রকৃতির প্রবর্তক “পুরুষাৰ্থ এব হেতু ন কেনচিৎ কাৰ্য্যতে করণম্” সাংখ্যকারিক । সেশ্বর সাংখ্য অর্থাৎ পাতঞ্জলমতে পুরুষার্থের উদ্দেশে ঈশ্বরই প্রবর্তক, সৰ্ব্বদা পরিণত হওয়াই প্রকৃতির ধৰ্ম্ম, উত্তেজনা করিবার প্রয়োজন নাই, কেবল প্রতিবন্ধক নিবৃত্তি হইলেই হয়। ধৰ্ম্ম অধৰ্ম্মরূপ প্রতিবন্ধক নিবৃত্ত্বি করে, তাই নন্দীশ্বরের ধৰ্ম্মপ্রধান দেবশরীর লাভ হইয়াছিল। অধৰ্ম্ম ধৰ্ম্মকে বাধা দেওয়ায় ইন্দ্রপদে প্রতিষ্ঠিত নহুষ রাজার অধৰ্ম্ম প্রধান সর্পশরীর লাভ হইয়াছিল। মনুষ্যশরীরে ধৰ্ম্ম ও অধৰ্ম্ম উভয়েরই সংস্রব আছে ॥৩ ॥ ৬ ভাষ্য । যদা তু যোগী বহূন কায়ান নিৰ্ম্মিমীতে তদা কিমেকমনস্কাস্তেত্ববন্ত্যথানেকমনস্কা ইতি। সূত্র। নিৰ্মাণচিত্তান্তস্মিতামাত্রাৎ ৪ ॥