পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ পা ৪। সূ। ১৪ ] কৈবল্য পাদ । రి) বর্গমাত্রই গুণত্রয়ের সন্নিবেশ ( সংযোগ ) বিশেষ মাত্র, অতএব বাস্তবিক পক্ষে গুণাত্মক, কারণ হইতে কাৰ্য অতিরিক্ত নহে, সুতরাং কাৰ্য্যমাত্র কারণের অভিন্ন, এই কথাই শাস্ত্রে উক্ত আছে, “গুণ সকলের শ্রেষ্ঠ স্বরূপ অর্থাৎ মূল কারণ দৃষ্টির বিষয় হয় না, যেটা দৃষ্টিপথে পতিত হয় তাহ মায়ার স্তার অতিশয় তুচ্ছ অর্থাৎ মিথ্যা" ॥ ১৩ ॥ o মন্তব্য। বার্ভিককার বলেন ভীষ্মের “ৰূড়বিশেষরূপাঃ” এই পাঠ গ্রামাদিক, উহা সঙ্গত হয় না, কারণ, কেবল পঞ্চতন্মাত্র ও অহঙ্কার এই ছয়টাই গুণাত্মক এরূপ নহে, সমস্ত কাৰ্য্যই ত্রিগুণাত্মক। একবিধ প্রধান কারণ হইতে কিরূপে নানারূপ কাৰ্য্য জন্মে এই আশঙ্কায় স্থত্রের অবতারণা হইয়াছে, যদিচ মূল কারণ প্রধান এক, তথাপি অনাদি ক্লেশ ও বাসনার ভেদ বশতঃ প্রকৃতির সংযোগবিশেষে সংসারে বৈচিত্র্য সম্পন্ন হয়। ভাষ্যের লিখিত শাস্ত্রানুশাসনটী ষষ্ঠিতন্ত্রপ্রণেতা বার্ষগণ্য ঋষি বিরচিত ॥ ১৩ ॥ ভাৰ্য্য। যদা তু সৰ্ব্বে গুণাঃ কথমেকঃ শব্দঃ একমিন্দ্রিয়মিতি ? সূত্র। পরিণামৈকত্বাৎ বস্তুতত্বমূ। ১৪ ॥ ব্যাখ্যা। পরিণামস্ত ( কাৰ্য্যস্ত অবয়বিন ইত্যর্থ: ) একত্বাৎ ( অভেদাৎ) বস্তুতং (বস্তুনাং গুণানামপি তত্বং তন্ত একস্ত ভাব একত্বমিত্যর্থঃ ) ॥ ১৪ ॥ তাৎপৰ্য্য। যদি সমস্ত পদার্থই ত্রিগুণাত্মক হয়, তবে একটা শব্দ একটা ইঞ্জিয় ইত্যাদিরূপে একত্ব ব্যবহার হয় কেন ? এই আশঙ্কায় বলা হইতেছে, যদিচ সমস্তই ত্রিগুণাত্মক, তথাপি পরস্পর অঙ্গাঙ্গিভাৰ সহকারে পরিণাম { কাৰ্য্য, বিকার) এক হয় বলিয়া গুণত্রয়স্কপ বস্তুরও একত্ব ব্যবহার হয় ॥১৪। ভাষ্য। প্রখ্যা-ক্রিয়া-স্থিতিশীলানাং গুণানাং গ্ৰহণাত্মকানাং করণভাবেনৈকঃ পরিণামঃ শ্রোত্রমিন্দ্ৰিয়ম, গ্রাহাত্মকানাং শব্দভাবেনৈকঃ পরিণাম: শব্দে বিষয় ইতি, শব্দাদীনাং মূৰ্ত্তিসমানজাতীয়ানমেক পরিণাম পৃথিবীপরমাণুস্তন্মাত্ৰাবয়ব, তেষাং চৈক পরিণামঃ পৃথিবী গেী বৃক্ষ পৰ্ব্বত: ইত্যেবমাদি, ভূতান্তরোপি স্নেহৌষ্ণ্যপ্ৰণামিত্বাহবকাশদানামু্যপাদায় সামান্যমেকবিকারারম্ভঃ সমাধেয়ঃ।