পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[*ी। 8 । लू s¢ ॥] কৈবল্য পাদ। ৩১৭ হয় না বলিয়া) উপস্থিত সমস্ত বস্তুকে অপ্রমাণ বিকল্প জ্ঞানের (অভেদে ভেদের আরোপ, এক জ্ঞানকেই জ্ঞান ও বিষয়াকারে কল্পনার) প্রভাবে বস্তুস্বরূপকে অপলাপ করিয়া কিরূপে শ্রদ্ধেয় বচন অর্থাৎ বিশ্বাসের যোগ্য হইতে পারে ॥১৪ মন্তব্য। অহঙ্কার তত্বের অবান্তর কার্য্য তিন প্রকার, সত্বপ্রধান গুণত্রয়, রজঃপ্রধান গুণত্রয় ও তমঃপ্রধান গুণত্রয়, , সত্ব প্রধান গুণত্রয়ের পরিণাম জ্ঞানেন্দ্রিয়, রজঃপ্রধানের কার্য্য কৰ্ম্মেন্দ্রিম ও তমঃপ্রধানের কার্য্য পঞ্চতন্মাত্র (জড়বর্গ ) এই তিনটা অহঙ্কারের ‘অবাস্তর বলিয়া পৃথক তত্ব বলিয়া অভিহিত হয় না। - সাংখ্যপাতঞ্জলমতে পরমাণুশব্দে নিরবয়ব দ্রব্য বুঝায় না, তন্মাত্রই উহার অবয়ব, এই পরমাণু বৈশেষিকের ত্রসরেণুস্থানীয়, শব্দতন্মাত্র হইতে আকশাণু, শব্দস্পর্শতন্মাত্র হইতে বায়বীয়পরমাণু, শব্দস্পর্শরূপতন্মাত্র হইতে তেজঃপরমাণু, শব্দস্পর্শরূপরসতন্মাত্র হইতে জলীয় পরমাণু ও শব্দাদিপঞ্চতন্মাত্র হইতে পাধিব পরমাণু জন্মে। বৌদ্ধগণ বলেন জ্ঞানের অতিরিক্ত শব্দাদি বিষয় নাই, বিজ্ঞানই জ্ঞান, জ্ঞেয় ও জ্ঞাতারূপে পরিণত হয়, অভেদে ভেদের আরোপ হয় বলিয়া উহাকে বিকল্পবৃত্তি বলে। জ্ঞানই বিষয়ের প্রমাণ, যখন জ্ঞান থাকেন। তখন বিষয় আছে কে বলিতে পারে ? অন্যদিকে স্বল্পজ্ঞান ভ্ৰমজ্ঞান প্রভৃতিস্থলে দেখা যায় জ্ঞানই জ্ঞেয়রূপে ভাসমান হয়, সুতরাং জ্ঞানের অতিরিক্ত বিষয়ের আবশ্রাক নাই। এ বিষয়ে আস্তিক দার্শনিক বলেন, নিৰ্ব্বিষয়ক জ্ঞান হয় না জ্ঞেেনর পরিণাম বিষয় হইলে “আমি শব্দ” “আমি স্পর্শ” ,ইত্যাদি রূপে ভান হইত, “এই শব” এই স্পৰ্শ” এরূপে হইত না। “সেই এই ঘট” ইত্যাদি প্রত্যভিজ্ঞ বিষয়সত্তার প্রমাণ। এ বিষয়ের বিশেষ বিবরণ শারীরক তর্কপাদ, আত্মতত্ববিবেক, সৰ্ব্বদর্শন সংগ্রহ প্রভৃতি গ্রন্থে আছে ॥১৪॥, ভাষ্য। কুতশ্চৈতৎ স্যায্যম্ ? সূত্র। বস্তুসাম্যে চিত্তভেদাৎ তয়োৰ্ব্বিভক্তঃ পন্থা ॥১৫ ব্যাখ্যা । বস্তুসাম্যে (জ্ঞেয়ন্ত অভেদে ) চিত্তভেদাং (জ্ঞানভেদাৎ ) তয়োঃ (জ্ঞান জ্ঞেয়য়োঃ ) বিভক্তঃ পন্থা (পৃথক্ স্বভাব: ) ॥ ১৫ ॥