পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o i [ পা ৪। সূ২০ । ] কৈবল্য পাদ । , ৩২৫ এস্থলে অগ্নি দৃষ্টান্ত হইতে পারে না, কারণ অগ্নি অপ্রকাশ (প্রকাশবিহীন) আপনার স্বরূপকে (নিজকে) প্রকাশ করে না। এস্থলে প্রকাশ (পুরুষ প্রকাশ নহে ) শব্দে যাহা বুঝায় উহা প্রকাগু গৃহাদি ও প্রকাশক দীপাদির সংযোগেই হইয়া থাকে দেখা যায়, স্বরূপমাত্রে (আপনাতে) সংযোগ হয় না। আরও কথা এই স্বাভাস বলিলে স্ব দ্বারা প্রকাশিত এরূপ বুঝায় না, কিন্তু কাহারও প্রকাগু নহে এরূপ বুঝায়, যেমন আকাশ স্বাত্মপ্রতি বলিলে আপনাতে স্থিত এরূপ না বুঝাইয়া শ্বরপ্রতিষ্ঠ ( পরে আশ্রিত) নহে এরূপ বুঝায়। চিত্ত জ্ঞেয় নহে এরূপও বলা যায় না, কারণ প্রাণিমাত্রেরই দেখা যায়, স্বচিত্তব্যাপারের (বৃত্তির) জ্ঞানপূর্বকই প্রবৃত্তি (চেষ্টা) হয়, আমি ক্রুদ্ধ হইয়াছি, ভীত হইয়াছি, এই বিষয়ে আমার অনুরাগ, এই বিষয়ে ক্রোধ ইত্যাদি স্বকীয় বুদ্ধির গ্রহণ (জ্ঞান) ন হইলে উহা ঘটিতে পারে না, অর্থাৎ ক্রোধাদির আশ্রয় চিত্তের জ্ঞান ব্যতিরেকে ক্রোধাদির জ্ঞান হইতে পারে না, সুতরাং চিত্তের জ্ঞান হয় না এরূপ বলা যায় না। ১৯ ॥ মন্তব্য। প্রকাশ (জ্ঞান ) দুই প্রকার একট ইন্দ্রিয়াদি দ্বারা উৎপন্ন হয়, উহাকে বৃত্তি বা জন্তজ্ঞান বলে, অপরট নিত্য উহা পুরুষের স্বরূপ, প্রথমটা ক্রিয়াত্মক, দ্বিতীয়ট নৈসর্গিক, প্রদীপ স্বপ্রকাশ বলিলে প্রদীপ আপনি আপনাকে প্রকাশ করে এরূপ বুঝায় না, কিন্তু প্রদীপ অপরের দ্বারা প্রকাগু নহে এই রূপই বুঝায়, অর্থাৎ প্রদীপ কখনও অপ্রকাশ থাকে না, প্রকাশই উহার স্বভাব, এস্থলে প্রকাশ শব্দে জ্ঞানরূপ প্রকাশকে বলা হইতেছে না, জ্ঞানপ্রকাশ দ্বারা প্রদীপাদিও প্রকাশিত হয়, কিন্তু ভৌতিক , প্রকাশ বলা হইতেছে বুঝিতে হইবে। প্রদীপ গৃহকে প্রকাশ করে বলিলে গৃহের অন্ধকার দূর করে এরূপ বুঝায়। বৌদ্ধমতে চিত্ত (জ্ঞান) প্রকাশ-স্বভাব, উহাতে তমের সম্পর্ক নাই। চিত্ত স্বপ্রকাশ বলিয়া বৌদ্ধগণ বুদ্ধির অতিরিক্ত আত্মা স্বীকার করেন না। ১৯ ॥ সূত্র। একসময়ে চোভয়ানবধারণম্ ॥ ২০ ॥ ব্যাখা। একসময়ে চ (একশিরেব ক্ষণে), উভয়ানবারণম্ (স্বস্ত পরষ্ঠ চ গ্রহণং ন সম্ভবতি, চিত্তস্ত ক্ষণিকত্বাদিত্যর্থ: ) ॥ ২০ ॥ •.