পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిరిy পাতঞ্জল দর্শন। ( পা ৪। সূ২৯ । ] তাৎপৰ্য্য। অবিদ্যাদি ক্লেশ সকল যেরূপ জ্ঞানপ্রভাবে মৃতকল্প হয়, বুখানসংস্কার সকলেরও সেইরূপ বুঝিতে হইবে, অর্থাৎ উহারাও জ্ঞানপ্রভাবে देिनटॆ श्झ ॥ २७ ॥ ভাষ্য । যথা ক্লেশ দগ্ধবীজভাবা ন প্ররোহসমর্থ ভবন্তি, তথা জ্ঞানাগ্নিনা দগ্ধবীজভাব পূর্বসংস্কারো ন প্রত্যয়প্রসূৰ্ভবতি, জ্ঞানসংস্কারাস্তু চিত্তাধিকারসমাপ্তিমমুশরতে ইতি ন চিন্ত্যন্তে ॥ ২৮ ॥ অনুবাদ । জ্ঞানাগ্নি প্রভাবে অবিদ্যাদি ক্লেশসমুদায় যেরূপ দগ্ধবীজভাব অর্থাৎ পোড়াধানের ন্যায় হইয়া প্ররোহ (অন্ধুর জনন ) যোগ্য হয় না, পূৰ্ব্বসংস্কার সকলও সেইরূপ জ্ঞানাগ্নিতে দগ্ধ হইয়া আর বুখানজ্ঞানের জনক হইতে পারে না, জ্ঞানসংস্কার সকল, চিত্তের অধিকার সমাপ্তি অপবর্গ পৰ্য্যন্ত অপেক্ষা করে, অর্থাৎ চিত্তের অধিকার শেষ হইলে চিত্তবিনাশের সহিতই নষ্ট হইয়া যায়, আশ্রয় নাশে বিনষ্ট হয় ॥ ২৮ ॥ মন্তব্য। বিবেকঞ্জান হইলেও যদি বুখানসংস্কার সকল বুখানজ্ঞান জন্মাইতে পারে, তবে আর ইহাদের নাশের উপায় কে হইবে ? সম্পূর্ণ ভরসা স্থল বিবেকঙ্কানরূপ ব্ৰহ্মাস্ত্র যদি ব্যর্থ হয় তবে অন্ত প্রয়োগে কি হইবে ? এরূপ আশঙ্কার কারণ নাই, বিবেকজানের অপরিপক্ক অবস্থায় ঐরূপ বুখানসংস্কারের আবির্ভাব থাকে, পরিপক্ক হইলে আর সেরূপ ঘটিতে পারে না, তখন ক্রমশঃ অবিদ্যাদি বিনাশের স্তায় পূৰ্ব্বসংস্কার সকলও বিরুদ্ধজ্ঞান সংস্কারদ্বারা তিরোহিত হইতে থাকে। এই বিরোধিজ্ঞানসংস্কারের কিরূপে নাশ হইবে তাহার চিন্তার আবগুক নাই, উহা চিত্তের সহিতই নষ্ট হইয়া যায়, উহাদের আশ্রয় চিত্ত, সুতরাং চিত্তরূপ আশ্রয় নষ্ট হইলে আর ' কিরূপে থাকিতে পারে। পরবৈরাগ্যসংস্কারকেই জ্ঞানসংস্কার বলা হইয়াছে ॥২৮ সূত্র। প্রসংখ্যানেইপ্যকুসীদস্য সৰ্ব্বথা বিবেকখ্যাতে ধৰ্ম্মমেঘঃ সমাধিঃ ॥ ২৯ ॥ ব্যাখ্যা। এসংখ্যানেংপি ( বিবেকসাক্ষাৎকারেইপি, কী কথা অন্যত্র ) অকুলীদন্ত (ফলমলিঙ্গোঃ পরং বিরক্তস্ত যোগিন: ) সৰ্ব্বথা বিবেকখ্যাতঃ