পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ পা ৪। সূ ২৯ । ] কৈবল্য পাদ । " నిరిసి (সম্যগৃভেদজ্ঞানাৎ ) ধৰ্ম্মমেঘ সমাধি; (ধৰ্ম্মং তত্বসাক্ষাৎকারং মেহতি সিঞ্চতি বৰ্ষতীতি ধৰ্ম্মমেঘ; তাদৃশঃ সমাধির্ভবতী ভ্যর্থঃ ) ॥ ২৯। তাৎপৰ্য্য। যে বিরক্ত যোগী বিবেকসাক্ষাৎকারেও ঈশ্বরপদরুপ ফল লাভে অনিচ্ছুক, তাহার সম্যগৃভাবে সৰ্ব্বদা বিবেকজানের উদয় হওয়ায় ধৰ্ম্মমেঘ নামে সমাধি উৎপন্ন হয়, প্রকৃঃ ধৰ্ম্ম আত্মতত্ব সাক্ষাৎকারের কারণ বলিয়া উহাকে ধৰ্ম্মমেঘ বলে ॥ ২৯ ৷ ” ভাষ্য। যদাহয়ং ব্রাহ্মণঃ প্রসংখ্যানেইপ্যকুসীদঃ ততোছপি ন কিঞ্চিৎ প্রার্থয়তে, তত্ৰাপি বিরক্তস্য সৰ্ব্বথা ৰিবেকখ্যাতিরেব ভবতীতি, সংস্কারবীজক্ষয়ান্নাস্ত প্রত্যয়ান্তরাণুৎপছন্তে, তদাহন্ত ধৰ্ম্মমেঘো নাম সমাধির্ভবতি ॥ ২৯ ॥ অনুবাদ। যে সময় এই ব্রাহ্মণ ( তত্বজ্ঞযোগী ) প্রসংখ্যানেও অর্থাং বিবেকসাক্ষাৎকারেও অকুসীদ হয়, অনুরাগবিহীন হয়, অর্থাৎ তাহ হইতেও অণিমাদি ঐশ্বৰ্য্য কামনা না করে, এবং ঐ বিবেকজানেও বিরক্ত হয়, তখন র্তাহার সর্বদা কেবল বিবেকঙ্কানই উৎপন্ন হইতে থাকে, সংস্কারের বীজ অবিদ্যাদি বিনষ্ট হওয়ায় আর অন্তবিধ প্রত্যয় (বুখানজ্ঞান) জন্মিতে পারে না । এই সময় যোগীর ধৰ্ম্মমেঘ নামে সমাধির আবির্ভাব হয়। অশুক্লকৃষ্ণরূপ প্রকৃষ্ট ধৰ্ম্মকে বর্ষণ করে বলিয়া ইহাকে ধৰ্ম্মমেঘ বলা যায়, ( ইহা সম্প্রজ্ঞাত সমাধির শেষ সীমা ) ॥ ২৯ ॥ মন্তব্য। কুৎসিতেষু বিষয়েন্ধু সীদতীতি কুসীদে রাগ, অর্থাং শব্দাদি নিকৃষ্ট বিষয়ে যে ব্যাপৃত থাকে, সেই দুপুর কামকেই কুসীদ বলে, তদ্রহিত ব্যক্তি অকুসীদ অর্থাৎ সৰ্ব্বথা বিরক্ত। শুক্লাদি ত্ৰিবিধ কৰ্ম্মের অতিরিক্ত মোক্ষফলদায়ক পরিশুদ্ধ ধৰ্ম্মকে যে প্রসব করে তাহাকে ধৰ্ম্মমেঘ বলে, এই ধৰ্ম্মমেঘ সমাধির উদয় হইলে পরবৈরাগ্যের উদয় হওয়ায় উক্ত প্রসংখ্যানেরও নিরোধ হয় । স্বত্রের কুসীদ শব্দটা রূপকভাবে বলা হইয়াছে, মহাজনে কুসীদ অর্থাৎ স্বদের লোভে টাকা ধার দেয়, অণিমাদি ঐশ্বৰ্য্যলাভের ইচ্ছুক হইয়া যোগী মহাজন সমাধি ব্যবসা করিতে পারেন, কিন্তু বিরক্ত যোগী কোন ফলেরই কামনা করেন না ৷৷ ২৯ ॥