পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७8२ • পাতঞ্জল দর্শন। [পা ৪। সূ৩২।] অর্থাৎ আচ্ছাদন দূর হওয়ায় জ্যোতিঃ প্রসার সকল স্থানেই পরিব্যাপ্ত হয়। এইরূপে জ্ঞানশক্তির আধিক্য হইলে জ্ঞেয়ভাগ তখন অল্প হুইয়া পড়ে, যেমন আকাশে খদ্যোত ( জ্যোতিরিঙ্গণ, জোনাকী পোকা ) অতি অল্প স্থান বাপিয়া থাকে, তদ্রুপ জ্ঞানাকাশে জ্ঞেয় ভাগ অতি সামান্ত হইয়া পড়ে, অজ্ঞাত বিষয় কিছুই থাকে না। ধৰ্ম্মমেঘসমাধি দ্বারা বাসনার সহিত ক্লেশ ও কৰ্ম্মাশয়ের অপগম হইলেও পুনৰ্ব্বার জন্ম হয় না কেন ? এই বিষয়ে দৃষ্টান্তস্বরূপ উক্ত হইয়াছে, “অন্ধ ব্যক্তি মণির বেধ ( ছিদ্র) করিয়াছে, অঙ্গুলিবিহীন ব্যক্তি সেই মণির মালা গাথিয়াছে, গ্রীবাহীন লোক ঐ মালা গলায় পরিয়াছে, জিহবারহিত ব্যক্তি উহাকে স্তব করিয়াছে, এই সমস্ত দুর্ঘট ব্যাপার যেমন কখনই হইতে পারে না, মূল ক্লেশাদি বিনষ্ট হইলেও সেইরূপ জন্ম প্রভৃতি কাৰ্য্য জন্মিতে পারে না ॥ ৩১ ॥ " - * মন্তব্য। আপাততঃ দেখিলে বোধ হয়, যেন স্বৰ্য্য কেবল এই দৃশুমান ভুবনকেই প্রকাশ করিতে পারে, উহার অতিরিক্ত প্রকাশ করিবার শক্তি স্বৰ্য্যের নাই, ওকথা ঠিক্‌ নহে, ওরূপ অনন্তকোটি ভুবন থাকিলেও স্বৰ্য্য তাহা প্রকাশ করিতে পারিত, আর নাই বলিয়া ঐটুকুই প্রকাশ করিয়া নিরস্ত থাকে, চিত্তেরও স্বভাব প্রকাশ করা, কেবল তমোগুণ দ্বারা আবৃত থাকায় সকল বিষয় প্রকাশ করিতে পারে না, রজোগুণ দ্বারা যখন যে বিষয়ের আবরক তমঃ উদঘাটিত হয় তখন সেই বিষয়টা মাত্র প্রকাশ করে, কাজেই আমাদের পক্ষে জ্ঞানের ভাগ অপেক্ষায় জ্ঞেয়ের ভাগ অধিক, ব্ৰহ্মাণ্ডে জ্ঞেয় বস্তু কতই কি আছে, আমরা অতি সামান্ত কিছু জানিতে পারি মাত্র, চিত্তসত্বের আবরক তমোগুণের একেবারে উচ্ছেদ হইলে চিত্তসত্ব তথন সকল পদার্থই* প্রকাশ করিতে পারে, কারণ প্রকাশ করাই তাহার স্বভাব। “ষত্রেদমুক্তং” ইত্যাদি দৃষ্টান্ত সকলের অভিপ্রায় বার্ভিককার অন্তরূপে বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি বলেন, ওটা বৌদ্ধগণের উপহাসবাক্য, ক্ষুদ্রজীব যোগবলে ষদি উক্তরূপ সৰ্ব্বজ্ঞতা লাভ করিতে পারে তবে “অন্ধো মণিমবিধ্যৎ ইতুদি দৃষ্টান্ত চতুষ্টয়ের অসম্ভাবনা কি ? ॥৩১ সূত্র। ততঃ কৃতাৰ্থানাং পরিণামক্রমসমাপ্তিগুণানাম্ ॥৩২