পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર’ পৃঢঞ্জল দর্শন / পা ১ । সু ৭ । ] চৈত্রের ষ্ঠায় অর্থাৎ চৈত্র (কোনও ব্যক্তি) এক স্থান হইতে অন্ত স্থান পাইয়া থাকে সুতরাং উহার গতি আছে। বিন্ধ্যপৰ্ব্বতের গতি নাই সুতরাং এক স্থান হইতে অন্য স্থানের প্রাপ্তিও নাই। o আপ্ত (ভ্রম, প্রমাদ, বঞ্চনা, ইন্দ্রিয়াপাটব প্রভৃতি দোষশূন্ত ব্যক্তি ) কর্তৃক প্রত্যক্ষীকৃত, অনুমিত অথবা শব্দদ্বারা অবগত পদার্থ সকল, “নিজের যেরূপ বোধ, শ্রোতারও ঐরূপ ইউক” এই অভিপ্রায়ে অপর ব্যক্তির নিকট শব্দ দ্বারা উপদিষ্ট হইয়া থাকে ; ঐ শব্ল শ্রবণ করিয়া শ্রোতার উক্ত পদার্থ বিষয়ে যে চিত্তবৃত্তি হয় তাহাকে আগম বলে। যে আগমের (শব্দের ) বক্ত অশ্রদ্ধেয়ার্থ (যাহার কথা বিশ্বাসযোগ্য নহে ) এবং দৃষ্টামুমিতাৰ্থ নহে (যিনি বক্তব্য বিষয় প্রত্যক্ষ বা অনুমান দ্বারা জানেন নাই ) সেই আগম প্রমাণ হয় না। মূল বক্তা ঈশ্বর দৃষ্টামুমিতার্থ অর্থাৎ পদার্থ সকল দেখিয়াছেন, অনুমান করিয়াছেন, সুতরাং বিপ্লবের (মমু প্রভৃতি শাস্ত্রের প্রামাণ্যহানির ) সম্ভাবনু নাই ॥ ৭ ॥ মন্তব্য। যেমন জোয়ারের জল নদী হইতে বহির্গত হইয়া খাল বহিয়া ক্ষেত্রে পতিত হয়, এবং ত্রিকোণ, চতুষ্কোণ মণ্ডল প্রভৃতি যেরূপ ক্ষেত্রের আকার থাকে তদ্রুপে পরিণত হয় ; চিত্তও সেইরূপে ইন্দ্ৰিয়রপ প্রণালী দ্বারা বাহ বস্তুর সহিত সম্বদ্ধ হইয়া তদ্রুপ ধারণ করে, ইহাকেই বৃত্তি বা পরিণাম বলা যায়। অর্থ সকল কাহারও মতে সামান্ত অর্থাৎ জাতি স্বরূপ (জাতির অতিরিক্ত ব্যক্তি নাই) কাহারও মতে বিশেষ অর্থাৎ ব্যক্তিমাত্র ( ব্যক্তির অতিরিক্ত জাতি নাই), কেহ বা উক্ত সামান্ত ও বিশেষের সমবায় রূপ অতিরিক্ত সম্বন্ধ স্বীকার করিয়া সামান্ত ও বিশেষ ব্যক্তিতে থাকে এরূপ ধলেন। পতঞ্জলির মতে জাতি ও ব্যক্তির সম্বন্ধ তাদাত্ম্য অর্থাৎ অভেদ, সমবায় নহে। এই সামান্ত বিশেযাত্মক পদার্থ বিষয়ে ইন্দ্রিয়জন্য যে চিত্তবৃত্তি হয় তাহাকে প্রত্যক্ষ প্রমাণ বলে। ইহার ফল পূৰ্ব্বোক্ত প্রম অর্থাৎ বিষয় সাক্ষাৎকার, এই জ্ঞানই “এইটা ঘট, এইটা পট” ইত্যাদি বিশেষ ব্যবহারের কারণ। প্রত্যক্ষস্থলে পদার্থের সামান্ত ভাবটী প্রকাশিত থাকলেও উহা বিশেষ বার আচ্ছন্ন থাকে। বস্তু মাত্রেরই সামান্ত (শব ও গ্রন্থমান দ্বারা যেরূপ অনির্দিষ্টভাবে জ্ঞান হয় ) ও বিশেষ (নির্দিষ্টভাবে যেরূপ