পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8 ' পাতঞ্জল দর্শন । [ পা ১ । সু৭ । ] বাচস্পতি মিশ্রের মতে পুরুষ চিত্তবৃত্তিতে প্রতিবিম্বিত হইয়াই চিত্তবৃত্তির ছায়া বিশিষ্ট হয়, পৃথকৃরূপে বৃত্তির ছায়া পুরুষে পড়ে না। যোগ বাৰ্ত্তিককার বিজ্ঞান ভিক্ষুর মতে চিত্তবৃত্তি ও পুরুষ এই পরস্পরের ছায়া পরস্পরে পতিত হয়। যেরূপেই হউক বিষয়াকারে চিত্তবৃত্তি হইলে উহা পুরুষের স্বকীয় বলিয়া বোধ হয়, চিত্তে ও পুরুষে বিশেষ থাকে না বলিয়াই প্রতীতি হয়। ভাষ্যকার তাহাই বলিয়াছেন “অবিশিষ্টঃ” ইতি। - একটা পদার্থের (যে ছাড়িয়া থাকে না, ধূমাদির) জ্ঞান হইতে অপর পদার্থের ( যাহাকে ছাড়িয়া থাকে না, বহ্নি প্রভৃতির ) জ্ঞানকে অনুমান বলে । অনুমানের কারণ ব্যাপ্তিজ্ঞান, ব্যভিচারের অভাবকে ব্যাপ্তি বলে, ছাড়িয়া থাকার নাম ব্যভিচার “বিহারস্থিতির্ব্যভিচারঃ । এই ব্যাপ্তি যাহাতে থাকে তাহাকে ব্যাপ্য বলে, যাহার ব্যাপ্তি তাহাকে ব্যাপক বলে, ব্যাপ্য ধূমাদির জ্ঞান হইতে ব্যাপক বহ্নি প্রভৃতির জ্ঞান হয়, কারণ ধুম বহ্নির ব্যাপ্য অর্থাৎ বহ্নিকে ছাড়িয়া কুত্ৰাপি অবস্থান করে না। বহ্নির জ্ঞান হইতে ধূমের জ্ঞান হইতে পারে না, কারণ বহ্নি ধূমের ব্যাপ্য নহে, ব্যভিচারী, অর্থাৎ ধূমকে ছাড়িয়া অয়োগোলকে অবস্থান করে। ধূমাদি ব্যাপ্যকে হেতু ও বহ্যাদি ব্যাপককে সাধ্য বলে। যে হেতু সকল সপক্ষে (যাহাতে সাধ্য আছে বলিয়া নিশ্চয় আছে ) অবস্থান করে, কোনও বিপক্ষে ( যাহাতে সাধ্য নাই বলিয়া নিশ্চয় আছে ) অবস্থান করে না তাহাকে সৎ হেতু বলে ; পক্ষে (যেখানে সাধ্যের সংশয় আছে ) উক্ত সাধ্য ব্যাপ্য হেতু আছে এইরূপ জ্ঞান হইলে অনুমান হয়, ইহাকেই পরামর্শ বলে। ব্যাপ্তি দুই প্রকার, অন্বয় ও ব্যতিরেক, তৎ সত্বে (হেতু থাকিলে ) তৎ সত্তা (সাধ্যের থাকা) অন্বয়। তদসত্বে (সাধ্য না থাকিলে ) তদসত্তা (হেতুর না থাকা) ব্যতিরেক। ভাস্যের প্রথম উদাহরণ "গতিমৎ চন্দ্রতারকং দেশান্তরপ্রাপ্তেঃ” এইটী অন্বয় স্থল। দ্বিতীয়টা “বিন্ধ্যশ্চাপ্ৰাপ্তিরগতিঃ” ব্যতিরেক স্থল। অন্বয় স্থলে হেতু ও সাধ্য এক স্থানে আছে এরূপ জ্ঞান পূৰ্ব্বে হয়, ব্যতিরেক স্থলে সেরূপ হয় না। অনুমান স্বার্থ ও পরার্থভেদে দ্বিবিধ। ধূম দেখিয়া বহ্নির জ্ঞান নিজের হওয়া এটুর্গাথাহমান স্থায় বাক্য দ্বারা অপরের নিকট কিছু প্রতিপন্ন করাকে পরার্থানুমান বলে। পরার্থানুমানে প্রতিজ্ঞা হেতু উদাহরণ, উপনয় ও নিগমন