পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ পা ১ । সূ ৯ ] সমাধি পাদ । • ఫిన প্রভৃতি ধৰ্ম্ম সমুদায় বিকল্পিত অর্থাৎ বিকল্পবৃত্তি দ্বারা বিজ্ঞাত, উক্ত কল্পিত । ধৰ্ম্ম দ্বারা চিরন্তন ব্যবহার চলিয়া আসিতেছে। ৯। মন্তব্য। শব্দের এমনই একটী অনিৰ্ব্বচনীয় প্রভাব আছে, যে অর্থ থাকুক আর নাই থাকুক, উচ্চারিত হইলেই একটী অর্থ বুঝাইয়া দেয়, মীমাংসক বলিয়াছেন “অত্যন্তমপ্যসত্যর্থে শব্দে জ্ঞানং করোতি হি” অর্থাৎ পদার্থ অত্যন্ত অসৎ ( একেবারে না থাকা ) হইলেও শব্দ জ্ঞান উৎপন্ন করিয়া থাকে। নরশৃঙ্গ, আকাশকুসুম প্রভৃতি পদার্থ নাই, তথাপি ঐ সকল শব্দ শ্রবণ করিলে একটা অর্থ বুঝায়, ইহাকেই বিকল্পবৃত্তি বলে। সত্যস্থলে শব্দ, অর্থ ও ੋਜ এই তিনটী বর্তমান থাকে, বিকল্পস্থলে অর্থ থাকে না, কেবল শব্দ ও জ্ঞান থাকে, “শব্দজ্ঞানামুপাতী বস্তুশূন্তঃ” দ্বারা এই কথাই বলা হইয়াছে। বিকল্পবৃত্তি দ্বারা কোনও স্থলে অভেদে ভেদ, কোথাও বা ভেদে অভেদ প্রতীতি হইয়া থাকে। ষষ্ঠ বিভক্তি থাকিলে ভেদ বুঝায়, “চৈত্রস্ত গেীঃ” (চৈত্রের গরু ) বলিলে চৈত্রে ( কোনও ব্যক্তিতে ) ও গরুতে ভেদ আছে এরূপ বুঝায়, “রাহোঃ শিরঃ” (রাহুর মস্তক) বলিলেও ঐরূপ রাহুতে ও মস্তকে ভেদ আছে এরূপ বুঝা উচিত, উচিত বটে কিন্তু রাহুতে ও মস্তকে ভেদ নাই, মস্তকই রাহু, এইট অভেদে ভেদের দৃষ্টান্ত। ক্ষিপ্ত মূঢ় প্রভৃতি চিত্তের ধৰ্ম্ম, সুতরাং চিত্ত হইতে ভিন্ন, তথাপি ক্ষিপ্তং চিত্তং, মূঢ়ং চিন্তং ইত্যাদিরূপে অভেদনির্দেশ হইয়া থাকে ; এই সকল ভেদে অভেদের দৃষ্টান্ত। সাংখ্য পাতঞ্জল মতে অভাব নামক কোনও পদার্থ নাই, উহা অধিকরণের স্বরূপ, তথাপি এই কল্পিত অভাব দ্বারা “নিক্রিয়ঃ পুরুষঃ” অর্থাৎ ক্রিয়ার অভাব বিশিষ্ট পুরুষ ইত্যাদি শত সহস্র ব্যবহার চলিতেছে, এস্থলে অভেদে ভেদ আরোপ হইয়াছে । ভাষ্যের “প্রতিষিদ্ধবস্তুধৰ্ম্ম৷” এস্থলে প্রতিষিদ্ধা বস্তুধৰ্ম্মাঃ এরূপও পাঠ আছে, তাহার অর্থ, বস্তুর ধৰ্ম্ম সমুদায় প্রতিষিদ্ধাঃ প্রতিষেধব্যাপ্যাঃ অর্থাৎ অভাবের সহিত সম্বন্ধ ; অভাবের সহিত ভাবের সম্বন্ধ হইতে পারে না তথাপি সন্ধ আছে বলিয়া ব্যবহার চলিতেছে। যথার্থকে অযথার্থ বলিয়া জানা বিপৰ্য্যয় ও বিকল্পে সমান, বিশেষ এই, বিপৰ্য্যয় স্থলে একবার বাধঙ্গান (যেটা যাহা, সেটাকে তাহ বলিয়Nান) হইলে আর ব্যবহার চলে না, সাধারণেরই ঐ বাধজ্ঞান হইতে পারে ; বিকল্প