পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Xと পাতঞ্জল দর্শন । [পা ১ । সূ ১৮ ] সবিষয়ক (পুরুষ পর্য্যন্ত কোনও একটী বিষয় যাহাতে আছে ) একাগ্রত অভ্যাসরূপ অপর বৈরাগ্য অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি উৎপাদন করিতে সমর্থ হয় না, এজন্ত যাহাতে চিন্তনীয় কোনও বস্তু থাকে না, এরূপ পরবৈরাগ্যকেই আশ্রয় করা উচিত। উক্ত বিরাম প্রত্যয় অর্থাৎ পরবৈরাগ্য অর্থশূন্ত, ইহাতে কোনও পদার্থ অভিলষিত থাকে না। এই পরবৈরাগ্যের বারম্বার অনুশীলন করিয়া চিত্ত নির্বিবষয় হয়, বৃত্তিরূপ কাৰ্য্য করে না বুলিয়া যেন বোধ হয় চিত্ত নষ্ট হইয়াছে, অতএব অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি নিববীজ অর্থাৎ নিরালম্বন ॥ ১৮ ॥ মন্তব্য । অসম্প্রজ্ঞাত সমাধিতে চিত্তের কোনও বৃত্তি থাকে না অথচ ংস্কার থাকে, এটা নূতন কথা, এ বিষয় সমাধিপাদের শেষ স্থত্রে বিশেষরূপে বলা যাইবে । সদৃশ কারণ হইতেই সদৃশ কাৰ্য্য উৎপন্ন হয়, বিসদৃশ কারণ হইতে বিসদৃশ কাৰ্য্য জন্মিতে পারে না। অসম্প্রজ্ঞাত সমাধির সদৃশ কারণ পরবৈরাগ্য, অসম্প্রজ্ঞাত সমাধিতে যেমন কোনও বিষয় থাকে না, পরবৈরাগ্যেও কোনও বিষয় অভীষ্ট থাকে না, সুতরাং উভয়ই সদৃশ ; অপর বৈরাগ্যে কোনও না কোন বিষয় অভীষ্ট থাকে, সুতরাং তাহা হইতে অস প্রজ্ঞাত সমাধি হইতে পারে না, সম্প্রজ্ঞাত সমাধি অপর বৈরাগ্য হইতে জন্মিতে পারে, কারণ কতক বিষয় থাকিয়া কতক না থাকা উভয়েরই তুল্য। কোনও বিষয় অবলম্বন না করিয়া চিত্ত অবস্থান করে, এ কথা আপাততঃ বিশ্বাস হয় না, চিত্তভূমিতে প্রতিক্ষণ শত সহস্ৰ বিষয় আসিয়া উপস্থিত হয়, এরূপ অবস্থায় সমস্ত বিষয় হইতে একবারে চিত্তবৃত্তি নিরোধ হওয়া কিরূপে হইবে ? একটু প্রনিধান পূর্বক চিন্তা করিলে এ বিষয় সহজেই প্রতিপন্ন হইবে, শত সহস্র বিষয় পরিত্যাগ করিয়া যদি সম্প্রজ্ঞাত সমাধিতে একটা মাত্র বিষয়ে চিত্ত অবস্থান করিতে পারে, তবে আর একটু উন্নতিলাভ করিলে একেবারে নিরালম্বনে থাকিবে তাহাতে আশ্চৰ্য্য কি ? অনেকেই ভানুমতী বাজি দেখিয়া থাকিবেন, তাহার ক্রমশঃ অবলম্বন ত্যাগ করিয়া পরিশেষে নিরালম্বনেও অস্থান কৃরিতে পারে। অর্সিক্তিমাত্রই দোষের কারণ, ঐ যে মুক্তির কারণ দেবদুর্লভ আত্মসাক্ষাৎকার বলা হইয়াছে, উহাতেও যেন আসক্তি না থাকে, তবেই নিরোধ