(* 9 . পাতঞ্জল দর্শন । [ পা ১ । সূ ২১ । ] অনুবাদ । যোগিগণের শ্রদ্ধাদি উপায় জন্য সমাধি হইয়া থাকে। চিত্তের প্রসন্নতাকে (তত্ববিষয়ে উৎকট ইচ্ছাকে ) শ্রদ্ধা বলে, মঙ্গলদায়িনী সেই শ্রদ্ধা যোগিগণকে রক্ষা করে। শ্রদ্ধাশীলবিবেকপ্রার্থী যোগীর বীর্য্য ( প্রযত্ন ) সমুৎপন্ন হয়, বীৰ্য্যের উৎপত্তি হইলে তত্বস্মরণ অর্থাৎ ধ্যান উৎপন্ন হয়, স্মৃতি উপস্থিত হইলে চিত্ত স্থিরভাবে সমাধি করিতে পারে ( এইট যোগের অঙ্গ সম্প্রজ্ঞাত সমাধি)। চিত্ত সমাহিত হইলে জ্ঞানের উৎকর্ষ হয় সুতরাং যথার্থ বস্তু জানিতে পারে, এইরূপে বারমার অভ্যাস ও তত্তং বিষয়ে বৈরাগ্য হইলে পরিশেষে অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি হইয়া থাকে। ২০ ॥ মন্তব্য। স্বত্রে অষ্টাঙ্গ যোগের শেষ অঙ্গ সমাধির উল্লেখ থাকায় যমনিয়ম প্রভৃতি পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব অঙ্গ সমুদায় আছে বলিয়া জানিতে হইবে, কারণ পূৰ্ব্বাঙ্গ যমনিয়মাদি না হইলে উত্বরাঙ্গ সমাধির সম্ভাবনা হয় না। সম্প্রজ্ঞাত সমাধি অসম্প্রজ্ঞাত সমাধির অঙ্গ অর্থাৎ কারণ। যচি উপাসনামাত্রেই শ্রদ্ধার আবশ্বক, কিন্তু আত্মা ভিন্ন অন্ত পদার্থে শ্রদ্ধা হইলে তাহাতে চিত্ত প্রসন্ন হয না, কারণ অপর সমস্তই ভ্রমমূলক । সারাৎসার আত্মতত্ব সাক্ষাৎকার করিয়া, তাছাতেও বিরক্ত হওয়া আবিস্ত্যক, অর্থাৎ ঐ বিবেকখ্যাতিও চিত্তে না জন্মে এরূপ চেষ্টা করা উচিত, নতুবা চিরকালই চিত্তে বিবেক জ্ঞান হইতে থাকিলে অন্তভাবে বন্ধন হইয়া দাড়ায় তাই ভাষ্যকার বলিয়াছেন “তদ্বিষয়াচ্চ বৈরাগাং” সেই আত্মথ্যাতিতেও বিরক্ত হইয় তাহার নিরোধ করিবে। চিত্তে কোনওরূপ বৃত্তি না হইলেই পুরুষের মুক্তি হয়। ২০ ॥ ভাষ্য। তে খলু নব যোগিন: মৃদুমধ্যাধিমাত্রোপীয় ভবন্তি ; তৎ যথা, মৃদুপায়, মধ্যোপায়, অধিমাত্রোপায়; ইতি। তত্র মৃদুপায়োহুপি ত্ৰিবিধ: মৃদুসংবেগ, মধ্যসংবেগ, তীব্রসংবেগঃ ইতি। তথা মধ্যোপায়, তথাধিমাত্রোপায়ঃ ইতি। তত্ৰাধিমাত্রোপায়ানাম। সূত্র। তীব্রসংবেগানামাসন্নঃ ॥ ২১ ॥ ভাষ্য । সমাধিলাভঃ সমাধিফলঞ্চ ভবতীতি ॥ ২১ ॥
পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৬৭
অবয়ব