পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

© Ꮼ পাতঞ্জল দর্শন। [পা ১ । সূ২৪ ] র্তাহারা অনাদিকাল হইতে কৰ্ম্মফল ভোগ করিয়া আসিয়াছেন ; প্রকৃতিলীন ব্যক্তিগণের উত্তর বন্ধ বলায় পূৰ্ব্ববন্ধ ছিল না এরূপ বুঝিতে হইবে না, উহাদের পূৰ্ব্বাপর উভয় বন্ধই আছে, কেবল দীর্ঘ সময় বিশেষের নিমিত্ত বন্ধ রহিত হয় মাত্র। * ঈশ্বরতত্ব প্রতিপাদন করায়, পাতঞ্জল দর্শনকে সেশ্বর সাংখ্যও বলা হইয়া থাকে। ঈশ্বররুপ অমুক্তঅংশ পূরণ করায় ইহাকে সাংখ্যের পরিশিষ্টও বলা যাইতে পারে। এই নিমিত্তই গ্রন্থ সমাপ্তিতে “পাতঞ্জলে সাংখ্যপ্রবচনে” এইরূপ লেখা হইয়া থাকে। ঐশ্বৰ্য্য জ্ঞান প্রভৃতি সমস্তই উপাধির অর্থাৎ প্রকৃষ্ট চিত্তের ধৰ্ম্ম, ঈশ্বরের (কেবল চৈতন্য স্বরূপের ) নিজের কিছুই নহে। উপাধি থাকিলেও ঈশ্বর উপাধির বশীভূত নহেন, উপাধিই উহার বশীভূত, সাধারণ জীব উপাধিরই বশীভূত হইয়া থাকে, এইটুকু জীব ও ঈশ্বরের প্রভেদ। সংসারানলে নিরস্তর দহমান জীবদিগকে জ্ঞান ও ধৰ্ম্মের উপদেশ দান করিয়া উদ্ধার করিবেন, এই অভিপ্রায়ে ভগবান স্বকীয় উপাধি প্রকৃষ্ট সত্বপ্রধান চিত্তকে গ্রহণ করিয়া থাকেন। এস্থলে আশঙ্ক হইতে পারে, ঈশ্বরের নিজের কোনই ধৰ্ম্ম না থাকিলে উপাধি গ্রহণের ইচ্ছাই বা কিরূপে হইতে পারে? একটা দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিলে ইহার উত্তর সহজে হইবে, যেমন কোনও ব্যক্তি “কল্য সকালে আমার উঠিতে হইবে” এইরূপ সঙ্কল্প করিয়া নিদ্রিত হইয়া পরদিন যথা সমস্পে'জাগ্রত হয়, তদ্রুপ প্রলয় কাল উপস্থিত হইলে ঈশ্বরের সঙ্কল্প হইয়া থাকে, “স্বষ্টির আদিতে পুনৰ্ব্বার আমাকে প্রকৃষ্ট সত্বরূপ উপাধি গ্রহণ করিতে হইবে”, সেই ংঙ্কল্প বশতঃই প্রলয়ের পর পুনৰ্ব্বার স্বকীয় উপাধি গ্রহণ করেন। স্বষ্টিও প্রলয়, প্রবাহ অনাদি সুতরাং প্রথম বারে কিরূপে হইয়াছিল এরূপ আশঙ্কার কারণ নাই । শাস্ত্র সকল প্রমাণ বলিয়া স্বীকৃত হইলে তদ্বারা যথোক্ত ঈশ্বর সিদ্ধি হইতে পারে এবং তাদৃশ সৰ্ব্বজ্ঞ ঈশ্বর সিদ্ধি হইলে তৎপ্রণীত বলিয়া শাস্ত্রকেও প্রমাণ বলা যাইতে পারে। এমত স্থলে পরস্পর পরস্পরের অপেক্ষারূপ অন্তোন্তাশ্রয় দোষের সম্ভাবন, "যোহসে প্রকৃষ্টসত্বোপাদানাং” ইত্যাদি ভাৰ্য দ্বারা নাস্তিকের উক্ত আশঙ্কাই দেখান হইয়াছে। সিদ্ধান্তে শাস্ত্রের প্রামাণ্য