পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Φb" পাতঞ্জল দর্শন । [*ी > । नू २८ ] gr অনুবাদ । ইন্দ্রিয়ের অতীত ভূত ভবিষ্যৎ ও বর্তমানবিষয়ে প্রত্যেক (এক একটা করিয়া) ও সমুচ্চয়ভাবে (সমূহ আলম্বনে) অল্প ও বহু পরিমাণে (বিষয়ের অল্পতা ও আধিক্যবশতঃই জ্ঞানকে অল্প ও বহু বলা যায়) জ্ঞান লক্ষিত হয়, এই অতীন্দ্রিয় জ্ঞানই সৰ্ব্বজ্ঞতার হেতু অর্থাৎ অতীন্দ্রিয় জ্ঞান যাহার আছে তাহাকে সৰ্ব্বজ্ঞ বলে। এই জ্ঞান বিশেষরূপে বৰ্দ্ধমান হইয়া (ক্রমশঃ অনেক পদার্থকে বিযয় করিয়া) যে স্থানে নিরতিশয় ( যাহা হইতে অধিক না থাকে এরূপ) হয় তাহাকে সৰ্ব্বজ্ঞ ঈশ্বর বলে। সৰ্ব্বজ্ঞতার সম্পাদক এই জ্ঞানের পরিশেষ আছে,—কেননা, যে পদার্থ সাতিশয় অর্থাৎ তারতম্যে অবস্থিত তাহ কোনও এক স্থানে নিরতিশয় হইবে, যেমন পরিমাণ, (পরিমাণ কুবলয় বিহু ভূতিতে ক্রমশঃ বিবৰ্দ্ধমান হইয়া আকাশে নিরতিশয় হয়, আকাশ পরম মহৎ পরিমাণ, তাহার পরিমাণ হইতে আর কোনও পরিমাণ অধিক নাই ; এইরূপ জ্ঞান ও তারতম্যযুক্ত, অর্থাৎ এক হইতে অপর ব্যক্তি অতীন্দ্রিয় পদার্থ অধিক জানে, তাহা অপেক্ষ আর একজন অধিক জানে, অতএব কোনও এক স্থান এমত আছে, যেখানে এই জ্ঞানের পরিসীমা হয় ) যেখানে শেষ আছে সেই ব্যক্তিই সৰ্ব্বজ্ঞ পরমেশ্বর। উহা পুরুষবিশেষ, অর্থাৎ পুরুষতত্ব হইতে পৃথকৃ নহে। অনুমান সামান্তভাবেই অর্থকে বুঝায়, ( প্রকৃতস্থলে কোনও একটা পদার্থ আছে, যেখানে জ্ঞানের পরিশেষ হইয়াছে, এই ভাবে ঈশ্বরকে বুঝান হইয়াছে, তাহার বিশেষ লক্ষণ কিছুই জানা যায় নাই) বিশেষরূপে বুঝাইতে অনুমান অক্ষম, সুতরাং ঈশ্বরের সংজ্ঞা প্রভৃতি বিশেষ ধৰ্ম্ম সকল শাস্ত্র হইতেই বুঝিতে হইবে। ঈশ্বরের নিজের প্রয়োজন না থাকিলেও জীবের প্রতি অনুগ্রহ করাই তাহার প্রয়োজন, জ্ঞান ও ধৰ্ম্মের উপদেশ দ্বারা কল্পপ্রলয় ( ব্রহ্মার দিনাবসান, বাহাতে সত্যলোক ভিন্ন সমস্ত জগৎ বিনষ্ট হয়) ও মহাপ্ৰলয় (যাহাতে সত্যলোকেরও বিনাশ হয়) কালে সংসারিপুরুষ সকলকে উদ্ধার করিব, এই অভিপ্রায়েই তিনি জীবের প্রতি অনুগ্রহ করেন, অর্থাৎ আপন উপাধি ও মূৰ্ত্তি প্রভৃতি পরিগ্রহ করেন। এই কথাই শাস্ত্রে উক্ত আছে— -আদিরিদ্ধান ভগবান মহৰ্ষি কপিল মুনি করুণা করিয়া নিৰ্ম্মাণচিত্ত (নিৰ্ম্মণার্থ চিত্ত, স্বকীয় উপাধি, প্রকৃষ্ট সত্বযুক্ত চিত্ত) গ্রহণ করিয়া জিজ্ঞাসু আক্ষরিকে সাংখ্যশাস্ত্র উপদেশ করিয়াছিলেন” ॥ ২৫ ॥