[ श्रृंi > । नू २¢ ] সমাধি পাদ | * Q> মন্তব্য । ভাষে “জ্ঞানং নিরতিশয়ং সাতিশয়ত্বtৎ পরিমাণবৎ” এইরূপে অনুমান করা হইয়াছে, এস্থলে জ্ঞানশব্দে জ্ঞান সামান্ত (জ্ঞানত্বং জাতি ) বুঝিতে হইবে, অর্থাৎ “জ্ঞানত্বং নিরতিশয়বৃত্তি, সাতিশয়বৃত্তিত্বাৎ পরিমাণত্ববৎ এইরূপে অনুমান করিতে হইবে, নতুবা কোনও জ্ঞানই সাতিশয় হইয়া নিরতিশয় হয় না, যেটা সাতিশয় (অন্মদাদি সাধারণের জ্ঞান ) সেট নিরতিশয় নহে, এবং যেটা নিরতিশয় ( ঈশ্বরের জ্ঞান ) সেটা সাতিশয় নহে। সাংখ্যশাস্ত্রে আদি বিদ্বান কপিলকেই ঈশ্বর বলে। ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ে ঈশ্বরবিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত আছে, কুসুমাঞ্জলিতে উদয়নাচাৰ্য্য বলিয়াছেন, “শুদ্ধবুদ্ধস্বভাবঃ” ইতি ঔপনিষদাঃ, “আদি বিদ্বান সিদ্ধঃ” ইতি কাপিলাঃ, “ক্লেশকৰ্ম্মবিপাকাশয়ৈঃ অপরামৃষ্টঃ নিৰ্ম্মাণকায়ং অধিষ্ঠায় সম্প্রদায়-প্রদ্যোতকঃ অনুগ্রাহকশচ” ইতি পাতঞ্জলাঃ, “লোকবেদবিরুদ্ধেঃ অপি নিলেপঃ স্বতন্ত্রশচ” ইতি মহাপাশুপতাঃ, “শিবঃ” ইতি শৈবা, “পুরুষোত্তমঃ” ইতি বৈষ্ণবাঃ, “পিতামহঃ” ইতি পৌরাণিকাঃ, “যজ্ঞপুরুষঃ” ইতি যাজ্ঞিকাঃ, “নিরাবরণঃ” ইতি দিগম্বরাঃ, “উপাস্তত্বেন দেশিতঃ” ইতি মীমাংসকাঃ, “যাবহুক্তোপপন্নঃ,” ইতি নৈয়ায়িকাঃ, “লোকব্যবহারসিদ্ধ” ইতি চাৰ্ব্বাকাঃ, কিং বহুনা, কারবোহপি মং বিশ্বকৰ্ম্মেত্যুপাসতে, অর্থাৎ বেদান্তীর মতে ঈশ্বর অদ্বিতীয় চৈতন্য স্বরূপ, সাংখ্যমতে আদি বিদ্বান অণিমাদি সিদ্ধিযুক্ত কপিল, পাতঞ্জলমতে ক্লেশাদিসম্পর্করহিত, শ্রুতিসম্প্রদায়ের উপদেশক ও অনুগ্রহকারী পুরুষবিশেষ, মহাপাশুপতমতে লৌকিক ও বৈদিক বিরুদ্ধধৰ্ম্মযুক্ত হইয়াও নির্লিপ্ত জগৎকৰ্ত্ত, শৈবমতে শিব অর্থাৎ ত্রৈগুণ্যের অতীত, বৈষ্ণবমতে পুরুষোত্তম অর্থাৎ সৰ্ব্বজ্ঞ পুরুষ, পৌরাণিকমতে পিতামহ অর্থাৎ জনকেরও জনক, যাজ্ঞিকের মতে যজ্ঞপুরুষ অর্থাৎ যজ্ঞে প্রধান ব্যক্তি, দিগম্বরমতে নিরাবরণ অর্থাৎ অজ্ঞান, অদৃষ্ট ও দেহাদিরহিত, মীমাংসকমতে উপান্তভাবে কল্পিত মন্ত্রাদি, নৈয়ায়িকমতে—প্রমাণ দ্বারা যতদূর সম্ভব ধৰ্ম্মযুক্ত, চাৰ্ব্বাকমতে—লোকব্যবহার সিদ্ধ রাজা প্রভৃতি, অধিক বলিবার প্রয়োজন নাই, শিল্পিগণও র্যাহাকে বিশ্বকৰ্ম্ম বলিয়া উপাসনা করিয়া থাকে। শাস্ত্র দ্বারা ঈশ্বরের শিব প্রভৃতি সংজ্ঞার স্তায় ছয়ট অঙ্গ ও দশটা অব্যয় ধৰ্ম্মও জানিতে পারা যায়, বায়ুপুরাণে উক্ত আছে –
পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৭৬
অবয়ব