পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ના ના રા નૂર ] সমাধি পাদ । ' .NNలి সূত্র। তজ্জপস্তদৰ্থভাবনম্। ২৮ ॥ ব্যাখ্যা। বিজ্ঞাতবাচ্যবাচকত্বন্ত (বিশেষেণ জ্ঞাতং বাচ্যবাচকত্বং প্রতিপাদ্য প্রতিপাদকত্বং যেন তন্ত) যোগিনঃ (সমাধিমত: ) তজপঃ (তস্ত প্রণবস্ত জপ: ) তদৰ্থভাবন (তদৰ্থন্ত প্রণবার্থন্ত ঈশ্বরস্ত ভাবনং চিন্তনম্ন উপাসনমিতি যাবৎ বিধেয়মিতি শেষ ॥ ২৮। তাৎপৰ্য্য। যোগিগণ ঈশ্বর ও প্রণবের বাচ্যবাচকতারূপ সম্বন্ধ বিশেষ করিয়া পরিজ্ঞাত হইয়া বাচক প্রণবের (ওঙ্কারের) জপ ও বাচ্য ঈশ্বরের উপাসনা কুরিবে ॥ ২৮ ॥ ভাষ্য। প্রণবস্ত জপঃ, প্রণবাভিধেয়স্য চ ঈশ্বরস্ত ভাবনা । তদস্য যোগিনঃ প্রণবং জপতঃ প্রণবার্থঞ্চ ভাবয়তশ্চিত্তং একাগ্ৰং সম্পদ্যতে ; তথাচোক্তম “স্বাধ্যায়াৎ যোগমাসীত যোগাৎ স্বাধ্যায়মামনেও । স্বাধ্যায়যোগসম্পত্ত্যা পরমাত্মা প্রকাশতে” ইতি ॥ ২৮ ॥ অনুবাদ। প্রণবের জপ ও প্রণবার্থ পরমেশ্বরের চিন্তন এই দুইটী অনুষ্ঠান করিতে করিতে যোগীর চিত্ত একাগ্র হয়। শাস্ত্রে উক্ত আছে স্বাধ্যায় অর্থাৎ বেদপাঠ ( প্রধানতঃ প্ৰণবের উচ্চারণ ) দ্বারা যোগের অনুষ্ঠান ও যোগের অনুষ্ঠান করিয়া পুনৰ্ব্বার বেদার্থের মনন করিবে, এইরূপে স্বাধ্যায় ও যোগসম্পত্তি দ্বারা পরমাত্মজ্ঞান হইয়া থাকে ॥ ২৮ ॥ মন্তব্য। পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে “ঈশ্বরপ্রণিধানাং বা” এস্থলে সেই প্রণিধানেরই বিশেষ বিবরণ করা হইয়াছে। ছান্দ্যোগ্য উপনিষদে উক্ত আছে “ও মিত্যক্ষরমুগীেথমুপাসীত” গীতায় উক্ত আছে “ও মিত্যেকাক্ষরং ব্রহ্ম ব্যাহরন মামনুস্মরন”। ঈশ্বরের বাচকশব্দ বহুবিধ থাকিলেও প্রণবকেই প্রধানরূপে কীৰ্ত্তন করা হইয়াছে ॥ ২৮ ॥ ভাষ্য। কিঞ্চ অস্ত্য ভবতি । সূত্র।. ততঃ প্রত্যকৃচেতনাধিগমোহপ্যন্তরায়াভাবশ ॥২৯ ব্যাখ্য'। ততঃ (প্রণবজপাৎ, প্রণবার্থচিন্তনাচ্চ) প্রত্যকৃচেতনাধিগমঃ