পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 8 . পাতঞ্জল দর্শন । [ পা ১। সূ৩৪। ] সম্ভাবনা । লোকসংগ্রহ নিমিত্ত জীবন্মুক্ত যোগিগণও উপদেশ দিবেন এরূপও বিধান আছে। ফল কথা নিজে যতদিন সুন্দররাপে চিত্তশুদ্ধি লাভ করিতে না পারে ততদিন অধাৰ্ম্মিকের সঙ্গ পরিত্যাগ করাই কৰ্ত্তব্য ॥ ৩৩ ॥ সূত্র। প্রচ্ছদনবিধারণাভ্যাং বা প্রাণন্ত ॥৩৪ ॥ ব্যাখ্যা। প্রাণন্ত (আধ্যাত্মিকবায়ো:) প্রচ্ছদনবিধারণাভ্যাং (নাসাপুটেন বহির্নিসারণেন, ধারণেন চ) বা (অপি, মনসঃ স্থৈৰ্য্যং সম্পাদয়েদিতি) ॥৩৪। তাৎপৰ্য্য। নাসারন্ধ দ্বারা অন্তরের বায়ু নি:সারণ ও বিধারণ অর্থাৎ প্রাণায়াম দ্বারা চিত্তস্থৈৰ্য্য সম্পাদন করিবে ॥ ৩৪ ॥ (i) ভাষ্য। কৌষ্ঠ্যস্ত বায়োর্নাসিকাপুটাভ্যাং প্রযত্নবিশেষাৎ বমনং প্রচ্ছৰ্দ্দনম, বিধারণং প্রাণtয়ামঃ, তাভ্যাং বা মনসঃ স্থিতিং সম্পাদয়েণ্ড ॥ ৩৪ ৷ অনুবাদ । যোগশাস্ত্রবিহিত প্রযত্নসহকারে নাসিকাদ্বয়ের অন্ততর দ্বার। উদরস্থিত বায়ুকে বাহিরে অবস্থাপন করাকে প্রচ্ছদন বলে, প্রাণবায়ুর গতিরোধকে বিধারণ বলে। এই উভয় উপায় দ্বারা চিত্তের স্থিরতা সম্পাদন করিবে ॥ ৩৪ ॥ মন্তব্য। জপ, পূজা ও সন্ধ্য প্রভৃতি সৰ্ব্বত্রই প্রাণায়ামের বিধান আছে। বাম নাসিকা দ্বারা বাহিরের বায়ুকে অন্তরে প্রবেশ করাইয়া অস্তরেই স্থির রাখাকে পূরক বলে। অন্তরের বায়ুকে দক্ষিণ নাসিক দ্বারা বাহির করিয়৷ বাহিরেই স্থির রাখার নাম রেচক । যাহাতে অন্তরের বায়ু বাহিরে অথবা বাহিরের বায়ু অন্তরে প্রবেশ করিতে না পারে এ ভাবে প্রাণবায়ুকে সঙ্কোচ করাকে কুস্তক বলে। এই রেচক, পূরক ও কুম্ভককেই প্রাণায়াম বলে, প্রাণায়াম শব্দের অর্থ প্রাণের আয়াম অর্থাৎ বায়ুকে সঙ্কোচ করা, যাহতে ক্রিয়া না হয় এরূপ করা। সচরাচর চারি বার মন্ত্র জপ করিয়া পূরক, ষোল • বীর কুম্ভক ও আট বার রেচক এইরূপে অনুষ্ঠান হইয়া থাকে, ওরূপ সংখ্যা ক্রম একটা অনুপাত মাত্র, অর্থাৎ পূরকের চতুগুণ কুম্ভক ও দ্বিগুণ রেচক, যেমন ষোল বারে পূরক, চৌষটি বারে কুম্ভক, এবং বত্রিশ বারে রেচক,