বিবাদের মীমাংসা করিয়া উঠিতে পারিলেন না। পরিশেষে তাঁহারা উভয়কেই কাজি সাহেবের নিকট গিয়া নালিশ করিতে পরামর্শ দিলেন। এই পরামর্শ অনুযায়ী উভয়েই কাজির নিকট গিয়া উক্ত বালকের নিমিত্ত আপনাপন অভিযোগ উপস্থিত করিল। কাজি সাহেব প্রথমে ফতেমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ বালকটী কাহার গর্দ্ভজাত? বল, মিথ্যা বলিও না। মিথ্যা বলিলে আমার নিকট হইতে তোমাকে কঠিন দণ্ড গ্রহণ করিতে হইবে।”
ফতেমা। দোহাই ধর্ম্মাবতার! আমি মিথ্যা কথা বলিতেছি না, এ আমার পুত্র। নছিবন মিথ্যা করিয়া আমার পুত্রকে গ্রহণ করিবার চেষ্টা করিতেছে।
কাজি। দেখ নছিবন। আমি তোমাকেও বলিতেছি, তুমি আমার নিকট মিথ্যা কথা কহিও না। এ পুত্র কাহান গর্দ্ভজাত, তাহার প্রকৃত উত্তর প্রদান কর।
নছিবন। দোহাই হুজুর! আমি শপথ করিয়া বলিতেছি, এ পুত্র আমার।
কাজি। সাক্ষ্য সাবুদ দ্বারা তোমরা কে প্রমাণ করিতে পারিবে যে, এই পুত্র কাহার?
ফতেমা। এখানে আমরা সাক্ষী কোথায় পাইব?
নছিবন। পুত্র এ স্থানে জন্মায় নাই, বা আমাদিগের স্বামীও বর্ত্তমান নাই, এ রূপ অবস্থায় এ পুত্র যে আমার, কোন সাক্ষী দ্বারা তাহা প্রমাণ করিবার ক্ষমতা আমার নাই।
কাজি। যখন কোন রূপ প্রমাণের দ্বারা তোমাদিগের মধ্যে কেহই প্রমাণ করিতে পারিবে না যে, এই পুত্র