পাতা:পালামৌ.djvu/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৷৵৹

 সঞ্জীবচন্দ্রের জীবনী বঙ্কিমচন্দ্র লিখিয়াছেন, বঙ্কিম-রচনাবলীর “বিবিধ” খণ্ডে তাহা প্রকাশিত হইয়াছে। সঞ্জীবচন্দ্রের প্রচলিত গ্রন্থাবলীর সঙ্গেও তাহা সচরাচর যুক্ত দেখা যায়। বঙ্কিমচন্দ্রের পরও আরও উপকরণ সঞ্জীবচন্দ্রের জীবনী সম্পর্কে যাহা পাওয়া গিয়াছে, বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ কর্তৃক প্রকাশিত “সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা”র ‘সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়’ পুস্তকে তাহা সন্নিবিষ্ট হইয়াছে। সঞ্জীবচন্দ্রের গ্রন্থপঞ্জীও উহাতে দেওয়া হইয়াছে।

 বঙ্কিমচন্দ্রের মত আমরাও মনে করি, “তিনি যে এ পর্য্যন্ত বাঙ্গালা সাহিত্যে আপনার উপযুক্ত আসন প্রাপ্ত হয়েন নাই, তাহা যিনি তাঁহার গ্রন্থগুলি যত্নপূর্ব্বক পাঠ করিবেন, তিনিই স্বীকার করিবেন। কালে সে আসন প্রাপ্ত হইবেন”। এই ভরসা লইয়াই আমরা তাঁহার একটি শ্রেষ্ঠ রচনা পুনঃপ্রকাশ করিলাম। এ যুগের পাঠকেরা এই রচনা হইতেই সঞ্জীবচন্দ্রের সাহিত্যকীর্ত্তি সম্বন্ধে সচেতন হইবেন বলিয়া আমাদের বিশ্বাস।

 চন্দ্রনাথ বসু “পালামৌ” সম্বন্ধে লিখিয়াছেন:

 ...উপন্যাস না হইয়াও পালামৌ উৎকৃষ্ট উপন্যাসের ন্যায় মিষ্ট বোধ হয়। পালামৌর ন্যায় ভ্রমণকাহিনী বাঙ্গালা সাহিত্যে আর নাই। আমি জানি উহার সকল কথাই প্রকৃত, কোন কথাই কল্পিত নয়। কিন্তু মিষ্টতা মনোহারিত্বে উহা সুরচিত উপন্যাসের লক্ষণাক্রান্ত ও সমতুল্য।

 রবীন্দ্রনাথ তাঁহার ‘আধুনিক সাহিত্যে’ সঞ্জীবচন্দ্রের “পালামৌ” সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা করিয়াছেন। এই আলোচনা সকলের পাঠ্য। আমরা নিম্নে সেই আলোচনা হইতে কিয়দংশ উদ্ধৃত করিয়া এই ভূমিকা সমাপ্ত করিতেছি। রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন: