পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল ও বর্জিনিয়া । b సి তাহাদের জীবনের তাদৃশ সম্বন্ধ দর্শনে বোধ হইত, যেন তাহারাই সাক্ষাৎ বনদেবতা । স্বীয় জননীদের জীবনবৃত্তান্ত ব্যতীত, অন্যান্য ইতিহাসবিষয়ে তাহদের সম্পূর্ণরূপ অনভিজ্ঞতা ছিল। কুটারদ্বয়ের নিকটস্থ উদ্যানের তরু গুল লতা সকলের ফল ফুল প্রভূতির সময় নির্ণয় করা ব্যতীত তাহাদের প্রকারাস্তরে সময়জ্ঞান করিবার আর কোন উপায় ছিল না। তাহারা কায়মনোবাক্যে অবিরত সাধারণের হিত করণে চেষ্টা করিত, এবং জগদীশ্বরের ঐশ্বরী শক্তিতে নির্ভর করিয়! ধৈর্য্যধারণ করিতে, সমর্থ হইত । সুতরাং তাহাদের নীতিশাস্ত্র, ধৰ্ম্মশাস্ত্র এবং দর্শনশাস্ত্রের উপাৰ্জ্জন করিবার অপেক্ষ থাকিত না । ফলে তাহারা কেবল প্ররতির সন্তানের ন্যায় এস্থলে বৰ্দ্ধমান হইয়াছিল । কখন কোন মহীয়সী চিন্তায় তাহাদের ললাট-ফলকে সঙ্কোচ জন্মিতে পারিত না । কখন কোন অহিত বা অপরিমিত আচরণে তাহাদের শোণিত দুষ্ট হইত না, এবং কখন কোন রিপু প্রবল হইয় তাহাদের অন্তঃকরণকেও কদাচিৎ বিচলিত করিতে পারিত না । তাহাদের মন কেবল অকপট প্রণয় ও নির্দোষত এবং পবিত্রতায় পরিপূর্ণ ছিল । তাহারা যে অসাধারণ গুণরত্বে অলস্কৃত, তাহাদের মুখের আকৃতি ও শরীরের ভাব এবং অঙ্গসঞ্চালন প্রভূতিতেই বিলক্ষণরূপে প্রকাশ পাইত । ক্ষেত্ৰকৰ্ম্ম সমাহিত হইলে পর, পাল যখন বজিনিয়ার সহিত একান্তে বসিত তাহাকে বারম্বার এই কথা কহিত “ প্রিয়তমে ? ভগিনি! বজিনিয়ে! আমি যখন২