পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল ও বর্জিনিয়া । 公蟹 ছইয়tছ ! দেখ দেখি কত দ্রুতবেগে তোমার নিশ্বাস প্রশ্বাস বহিতেছে । আহা ! এত প্রচণ্ড রৌদ্রে তোমার মুখখানি শুষ্ক ও মলিন করিয়া আসিবার কি প্রয়োজন ছিল ?” । এই সকল কথা কহিত্তেই বজ্জিনিয়া নিতান্ত কুষ্ঠিতভাবে আপন বসনের অঞ্চল দিয়া পালের মুখের ঘৰ্ম্মজল মুছিয়া দিতে লাগিল । এই মরীচি উপদ্বীপে কোন কোন বৎসর গ্রীষ্মের অত্যন্ত প্রাচুর্ভাব ও তদুপলক্ষে লোকের ৰিজাতীয় অনিষ্ট জন্মিয় থাকে । সুৰ্য্যের উত্তরায়ণ হইলেই তাহার তেজঃ প্রখরতর হইয়া অসহ বোধ হয় । দক্ষিণ-পূৰ্ব্ব বায়ু দিৰারাত্র অবিশ্রান্ত বহন হইতে থাকে । তাহাতে পথের ধুলি সকল উড্ডীন হইয়। অনুক্ষণই গগণমণ্ডলকে অাচ্ছন্ন রাখিতে দেখা যায় । ভূমি সকল শুষ্ক ও নীরস হইয়া বিদীর্ণ হয় এবং ক্ষেত্রের শস্যাদি সকল এককালে দগ্ধ হইয়া যায় । প্রচ ও সুর্য্যকিরণে সপ্তপ্ত পৰ্ব্বতীয় পাশ্ব ভাগ হইতে নিরতিশয় উষ্ণতাপ নির্গত হইতে থাকে । আর এখানকার ক্ষুদ্র২ নদী ও নিবার সকল এককালে শুষ্ক হইয়া লুপ্তপ্রায় হয়। অপরাকু সময়ে বিস্তারিত প্রাস্তরের মধ্যস্থল হইতে উত্থিত বাষ্প সকল দাৰানলের ন্যায় অসহ বোধ হয় । আর নভো ভাগ তপ্তবায়ুতে পরিপূর্ণ থাকিয়া রাত্রিকালে কাছাকেও স্বাস্থ্যবোধ করিতে দেয় না । নভোমণ্ডলে পুর্ণচন্দ্রমণ্ডল কুক্কটিকাৱত হইতে যদ্রুপ দৃষ্ট হয়, তেমনি অস্তু তাকার শোণিতপিণ্ডের ন্যায়, বোধ হয় । হলবাহী : বলীবর্দাদি সকল পৰ্ব্বতের উপরিভাগে শান্তি পাইবার