পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল ও বর্জিনিয়া । مع\ f) لا পর অবধি পালের মন ও আমার মন দুই একভাবপন্নই হইল। বর্জিনিয়ার বিচ্ছেদ সাতিশয় দুঃখজনক ৰোধ হওয়াতে সে প্রায়ঃ একাকী থাকাই শ্রেয়স্কর বোধ করিল । মনুষ্যেরা ক্রমাগত একাকী থাকিতেই বন্ধুবান্ধবের কোন সাহায্য ব্যতিরেকেও অনায়াসে কালযাপন করিতে, এবং প্রাক্কত সৌন্দর্য্য-দর্শনেই পরিতৃপ্ত হইতে সমর্থ হয় । আর যাবৎ তাহার। লোকসমাজের মধ্যে থাকে তাবৎ তাহাদের মন মানলিঙ্গ জিগীষা প্রভূতি দ্বারা সৰ্ব্বদা ব্যক্তিব্যস্ত থাকে । বিজনদেশে থাকিলে আর সে সকল তাহদের মনে কখনই উদ্ভূত হয় না । কেবল প্রকৃতির গুণাগুণ ও পরমেশ্বরের মহীয়সী সত্তা এইমাত্র উদয় হইতে থাকে । ইহার এক দৃষ্টান্ত বলিতেছি প্রৰণ কর । যেমন প্রবহমান কোন স্রোতস্বতীর জল উথলিয়া কোন আলিবদ্ধ ক্ষেত্রে প্রবিষ্ট হইলে, ক্রমশঃ সেই জল নিৰ্ম্মল হয়, তেমনি মনুষ্যও জনসমাজ হইতে বহির্গত হইয়া বিজন স্থানবাসী হইলে তাহার চিত্ত নিৰ্ম্মল হইয় উঠে । এতদ্ব্যতীত চিত্ত-প্রসাদানুসারে তাহার শরীরেও বিলক্ষণ স্বাস্থ্য জন্মে এবং তাহাতে তাহার পরমায়ুরও হ্রাস হইবার সম্ভাবনা থাকে না । পুৰ্ব্বকালে ভারতবর্ষীয় ঋষিরাও কেবল এইরূপে দীর্ঘজীবী হইতেন । এতাবত আমার কিছু এমত বল তাৎপর্য্য নয় যে, প্রত্যেঙ্ক মনুষ্য নিরবচ্ছিন্ন মুনিৰ্বত্তিতেই জীবন যাত্র। নিৰ্ব্বাহ করুক । সৰ্ব্বসাধারণে যে প্রকার পরস্পর শৃঙ্খলার ন্যায় আবদ্ধ আছে, তাহদিগকেও সেই প্রকার ব্যবহার করা কৰ্ত্তব্য । অতএব