পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ン ぬ R পাল ও বর্জিনিয়া। সমুদ্রে যে ভয়ানক ঢেউ উঠিতেছিল, কাহার সাধ্য তথায় ডিঙ্গী লইয়। এক পাদ অগ্রসর হয় । খানিক পরে দেখিতে পাইলাম তাহাতে একটা আলো জ্বলিতেছে । তাহাতে অামার মনেই এই আশঙ্কা হইল যে, বুঝি জাহাজখানা তীরভূমির অতি নিকটেই আসিয়া উত্তীর্ণ হইয়াছে এবং উদ্যমাঙ্কে যাইতে পথজমে অম্বর দ্বীপ এবং এই উপদ্বীপের মধ্যস্থলে অ|সিয়া প্রবেশ করিয়াছে । যাহা হউক ভাই ! যদি এমন দুর্ঘটনা হইয় থাকে তবে একপ্রকার সৰ্ব্বনশেরই সম্ভাবন। বলিতে হইবেক ’ । পরে আর এক জম তাহাদিগকে বলিল * ভাই হে ! আমি ও মুতিটা অনেকবার পারাপার হইয়াছি, সে স্থানের কিছুই জামার অবিদিত নাই । আমি বিশেষ অনুধাবন করিয়া - দেখিয়াছি তথাকার জল অত্যন্ত অগাধ ও নিৰ্ম্মল ঝড় ঝটিকার সময়ে জাহাজ সকল সেখানে ষে মন নির্বিঘ্নে থাকিতে পারে তেমন বন্দরের নিকটেও থাকিবীর সম্ভাবনা নাই ৷ ” এই কথা কহিয়া সে পুনৰ্ব্বার কহিল “ ভাই সকল ! আমি বাজী রাখিয়া কহিতে পারি, উপদ্রবের সময়ে আমি অন্যান্য স্থল অপেক্ষা সে স্থলে নিৰ্ভয়ে থাকিতে সমর্থ হই । আর একজন কহিয়া উঠিল “ জানি হে জানি, সে সুতিটা অামি বিলক্ষণ জানি, তাহার মধ্যে কেবল সামান্য২ নৌকাই প্রবেশ করিতে পারে এই মাত্র, কিন্তু জাহাজ ৰা বড়ই নৌকা তাহাতে প্রবেশিবার সম্ভাবনা নাই । -আমার নিশ্চয় বোধ হইতেছে, বাতাস উঠিবার পুৰ্ব্বে নাৰিকের সে জাহাজখানা লঙ্গর করিয়া ব্লাখিয়াছিল,