পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

マミミ পাল ও বর্জিনিয়া । পাপাচরণ করে নাই, এইহেতু পরমেশ্বর তাহাকে লোকান্তর গমনের উপযুক্ত করিয়াছেন । বোধ হইতেছে তিনি তথায় তাহাকে ধৰ্ম্মের বিশিষ্ট ফল ভাগিনী করিয়াছেন । বজিনিয়ার অন্তঃকরণ যেমন দৃঢ় তেমনি সহিষ্ণু ছিল, একারণ সে জীবিতাবস্তায় কোন ক্লেশ পায় নাই, এবং মৃত্যুকালেও তাহার মুখমগুলে কোন ভয়চিহ্ন দৃষ্টিগোচর হয় নাই । শুন পাল ! পরমেশ্বর কেবল ধৰ্ম্ম পরীক্ষা করিবার জন্যই আমাদিগকে ক্লেশে নিক্ষিপ্ত করেন । এই হেতু আমাদিগের প্রক্লত মুখ ও র্তাহার নিকট সমাদর প্রাপ্তির কিঞ্চিম্মাত্র ব্যাঘাত হয় না । পরমেশ্বরের নিয়মে ক্লেশে পতিত হইয়। যিনি সাহসহীন না হন, তিনিই এক প্রকার ধাৰ্ম্মিকের দৃষ্টান্ত স্থল । এতাদৃশ ধাৰ্ম্মিক রাজগণের নাম কালসহকারে লুপ্তপ্রায় হইয়াও রক্ষ প্রাপ্ত হয় । আমার মতে বর্জিনিয়া এখন পর্য্যন্তও বাচিয়া রহিয়ছে। এ কথার ভাব এই যে, যত ভূত ভৌতিক প্রপঞ্চ দৃষ্ট হয়, সকলই বিরুত, অর্থাৎ রূপান্তর প্রাপ্ত ভয় মাত্র ; বস্তুতঃ তাহার কিছুই এককালে বিনষ্ট হইয় লোপ পায় না । পুথিবীতে অনেক প্রকার শিল্পচ - তুরীর প্রচার আছে, কিন্তু তদ্‌ার পরমাণুর সৃষ্টি বা *বংস করা কোনমতেই স স্তুক নহে । যদি ইহা স্তিত্ত্ব সিদ্ধান্ত হয়, তবে তাদৃশ ধৰ্ম্মপরায়ণা মুশীলা বালার বিনাশ কি প্রকারে সস্তুবিতে পারে ? । সুতরাং বজ্জিনিয়ু ও তাহার অকপট ধৰ্ম্ম অদ্যাপিও বৰ্ত্তমান রহিয়াছে বলিতে হইবেক । যদি ইহা নিশ্চিত হইল, তবে