পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** পাল ও বর্জিনিয়া। গুলি তাহার পরিপাটীরূপে প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াছে। সুতরাং তাহীদের পরিতোষের আর ইয়ত্ত থাকিত না। ফলে যাহাদের এমন প্রভূভক্ত দাস দাসী থাকে, তাহাদের কতজ্ঞতা ও স্নেহের সহিত সেবা প্রাপ্তি কিছু আশ্চর্ম্য ব্যাপার নহে । সেই দুই সখীদের দুঃখ একপ্রকার ছিল বলিয়া তাহাদের পরস্পর প্রণয়ে আর কিছুমাত্র কপট ছিল না ! কেহ কাহাকে ডাকিতে হইলে তাহারা পরস্পর প্রিয়সখি! ভগিনি । সহচরি! বলিয়া সম্বোধন করিতেন। অধিক বলা বাহুল্য, বস্তুতঃ, তাহাদের যে পরস্পর ভেদ সে কেবল দেহেতেই ছিল এইমাত্র, অন্য আর কিছুতেই তাহাদের ইতরবিশেষ ছিল না । তাহাদের পরস্পর ভেদ না থাকিবার কারণ শ্রবণ কর । তাহদের ইষ্ট ও অনিষ্ট লাভালাভ, এবং আহার ব্যবহার সকলি একাকার ছিল । বিশেষতঃ যৎসামান্য কাজ কৰ্ম্ম করিবার অবশ্যক হইলেও, তাহ উভয়ের ঐক্য ব্যতীত কদাচ সম্পন্ন হইত না । কখন ২ তাহারা মনোদুঃখের গতিকে চক্ষের জল ও দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ করিতেন, কিন্তু তখনই আবার তাহাদের ধৈর্য্য উপস্থিত হইত। তাহারা সাতিশয় ধাৰ্ম্মিক ও বুদ্ধিমতী ছিলেন, একারণ বুঝিতে পারিতেন, যে আমাদের এ শোকের বিষয় সকল মনুষ্যের আয়ত্ত নহে; সুতরাং তাহাতে অধিক ক্ষণ মগ্ন না থাকিয় আপন আপনিই তাহা হইতে ক্ষান্ত হইতেন । শিশুরা, স্নেহ প্রকাশ করিতে হয় এমন কোন কথা জানে না, কেবল যেমন শিক্ষা পায় তেমনি শিখে, এই