পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল ও বর্জিনিয়া। ৩৫ যে বড় আপন ইচ্ছায় বিবাহ করিয়াছিলি । সে সময়ে তুই পরে কোথায় দাড়াইবি একথা একবার মনেতেও করিতে পারিস, নাই। তুই আমাদের এ অকলঙ্ক কুলে কালি দিয়াছি, তুই তেমন কৰ্ম্ম করিয়া এ কুল ছাড়িয় যে দূরে রহিয়াচিস্, ইহাতে আমরা একপ্রকার পরিত্রাণ পাইয়াছি । তোর মত স্বৈরিণীর কি মুখ দেখিতে আছে । তোর মত কলঙ্কিনীর কি কথা শুনিতে আছে । তোর উপকার করায় ত কোন ফল নাই । তোর দুঃখে ত দুঃখ বোধ হয় না । ङ्हे এখন কোন মুখ লইয়া দুঃখের কথা লিখিয়া পাঠাইস । তোর দুঃখ ত কিছু নাই, যেখানে তুই রহিয়াছিস সে যেমন উৰ্ব্বর, তেমনি পরিস্কৃত স্থান ; সৰ্ব্বতোভাবেই ত ভাল স্থান শুনিতে পাই । অলস ভিন্ন কৰ্ম্মণ্য ব্যক্তি মাত্রেই সেখানে একটা নয় একটা উপায়ে দিনপাত করিতে পারে । তবে কেন তোর এত দুঃখ হইতেছে ” । এইরূপে ৰুদ্ধা আপনার ভ্রাতৃকন্যাকে সেই পত্রে যাহার পর নাই ভৎস না করিয়া আপনার ও গোটাকত গুণের কথা স্মরণ করাইয়া দিবার জন্যে পত্রের শেষে লিখিয়াছিলেন “দেখ দেখি, বিবাহ করিলে পরিপামে অমুখ ঘটিবেক বলিয়া আমি একাকিনী এ জন্মটাই কটাইলাম ” । সেই বৃদ্ধার অতিশয় কুলাভিমান ছিল, এই কারণবশতঃ তিনি সংকুলজাত ও সৎপাত্র নহিলে কখন বিবাহ করিব না, এইরূপ প্রতিজ্ঞ করিয়াছিলেন। তিনি প্রচুর ধনবতী ছিলেন, এবং যে দেশে বাস করিতেন সেখানেও ধনের কথা ও