পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল ও বজিনিয়া । به همراه প্রাপ্তিমাত্র তাহারা স্বয়ং রোগীর নিকটস্থ হইয়া রোগের বলাবল বুঝিয়া সেই ঔষধ প্রয়োগ করিতেন, ঔষধেরও সাতিশয় গুণ প্রকাশ পাইত । তাহাদের মনে এই সিদ্ধান্ত স্থির ছিল যে, যদি রোগী ব্যক্তির কোন প্রকার মনঃক্লেশ থাকে, তাহা হইলে তাহার সে রোগের যাতনা অত্যন্ত অসহ্য হয়। এই হেতু তাহার রোগীকে দর্শন করিয়াই প্রথমতঃ তাহার মনঃক্লেশ দূর করিতে চেষ্টা পাইতেন । বিৰিদিলাতুর সখীভাৰ প্রকাশ পূৰ্ব্বক সম্পূর্ণ শ্রদ্ধার সহিত সেই রুগ্নাদিগের সন্নিধানে ঈশ্বরতত্ত্ব কহিতে আরম্ভ করিতেন। তাহাতে সেই ২ পীড়িত ব্যক্তি শুনিতেই বোধ করিত যেন তাহার সম্মুখে ঈশ্বর স্বয়ং আসিয়াই কথাবার্তা করিতেছেন । মাতৃদ্বযের এতাদৃশ সাধুভাব দর্শনে বজিনিয়া হর্ষিতমনে ও প্রসন্নবদনে তথা হইতে গৃহাতিমুখে গমন করিত । কোন ২ দিন তাহার অধিক পথ পর্যটন করিবার বাসনা করিয়া, সম্মুখস্থ পৰ্ব্বত পার হইয়া আমার কুর্টরে উপস্থিত হইতেন। সে দিন আমরা মহা আমোদ পুৰ্বক সকলেও একত্র হইয়া আহারাদি করিতাম। অামার বাসস্থানের অদূরেই এক ক্ষুদ্র নদী প্রবাহিত আছে, তাহার ধারেই এই প্রমোদ-ভোজন সম্পন্ন হইত। ইচ্ছানুসারে কদাচিৎ সমুদ্রতীরেও এপ্রকার আহারাদি হইয়া থাকিত । ভোজের দিন আমরা বৃক্ষবাটিক হইতে নানা জাতীয় ফল, মুল, শাক, পাত, লইয়াই তথায় যাইতাম । .আর২ সামগ্ৰী পত্র সেখানে অতি সুলভ । যাহ২ লইয়া যাইতাম তাহাতে অামাদের বিবিধ প্রকার খাদ্য