পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাওটা শেষ পৰ্যন্ত লাভজনক হবে না বােঝা হয়ে উঠবে এসব হিসাব সে করে না। তার দৃঢ় বিশ্বাস যে দামী কিছু সস্তায় পাওয়া মানেই কিস্তি মাৎ করে দেওয়া । নন্দার কাগজটা ছাপা না হলে প্রেসটা তার চালু রাখা সম্ভব হত না, অনেকদিন আগেই তুলে দিতে হত। তাই সুধীন সরকার মালিক হলেও কাগজটা চালাবার দায়িত্ব যাদের, তাদেরই প্রেসের লোক মালিকৃত মনে করে । আগেকার ব্যবস্থাই সব বজায় আছে, সম্পাদক হিসেবে নামটাও ছাপা হচ্ছে প্ৰদ্যোন্তের-সবাই কেবল টের পেয়েছে যে, কাগজ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে কর্তালি পেয়েছে সুনীল । সে যা বলবে তাই হবে । তার কথার উপরে আর কোন কথাও নেই, কারো কাছে নালিশও নেই। নিখিল দেশ থেকে ফিরেছিল যথাসময়েই । বদখত এডিটোরিয়েলটা ছাপানো নিয়ে সেও হৈ চৈ কম করে নি। কিন্তু সুনীলকে কতৃত্ব নিতে দেখে সে অত্যন্ত डांश्ड श् । 粤 শচীনকে সে ক্ষুব্ধভাবে বলে, এই ছেলেমানুষেরা কতটুকু জানে কাগজ চালানোর ব্যাপার ? কোনদিন কাজ করেছে কোন কাগজে ? শচীন বিব্রতভাবে বলে, ও খুব কাজের মানুষ, পাকা লোক । নিখিল বলে, ওকেই সব করে দিচ্ছেন নাকি-ম্যানেজার, এডিটর ? শচীন বলে, আপনি ভুলে যাচ্ছেন কাগজটা আমার মেয়ের, আমি কাগজের भांविक नई । শচীনের কাছে নিখিলের কথা শুনে নন্দ গম্ভীরমুখে বলে, ওঁর গা জ্বালা করছে কেন? সুনীলবাবুতে ওঁর কোন ক্ষতি করেন নি, ওঁর কাজেও ব্যাঘাত জন্মান নি । শচীন বলে, অনেকদিন থেকে ভদ্রলোকের সম্পাদক হবার আশ । তুমিও সে খবর রাখো ? s ( tatpiffit)-