পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুনীল বাধা দিয়ে বলে, তুই শুবি যা তো। মায়ার সঙ্গে আমার দরকারী কথা আছে। এই তো তুমিও একটা মিছে কথা বললে। মায়াদির সঙ্গে দরকারী কথা হয়ে গেল, আর কোন দরকারী কথা নেই জানো। তবু বলছি দরকারী কথা আচে । সুনীল তার দিকে না তাকিয়েই মায়াকে জিজ্ঞাসা করে, অনিল আর ছায়ার ঝগড়া মিটেছে ? • কই আর মিটাল ? অনিল ওর সঙ্গে মিশবে না বলেছে। उांब्रन दिव्लंड यां, दंब्tछ् दtठे, किंखुনিজেই সে থেমে যায় হঠাৎ ৷ কিছুক্ষণ মাথা হেঁট করে বসে থেকে ধীরে ধীরে উঠে চলে যায়। মায়া জিজ্ঞাসা করে, ওর কি হল ? অভিমান ! নবীনের সঙ্গে কথা বন্ধ করেছি বলে । বেশ আছে ওরা, মান অভিমান ছেলেমানুষি নিয়ে । বেশ আছে ? বেশ থাকলে তোভাবনাই ছিল না । ছেলেমানুষিতে পৰ্য্যন্ত ঘুণ ধরে গেছে। আড়াল করা ছেলেমেয়েদের মানুষ করা কঠিন দাড়িয়ে গেছে। একটা লড়াই অবলম্বন চাই মানুষ হতে হলে। মায় উঠে দাডিয়ে হঠাৎ জিজ্ঞাসা করে, নবীনের সঙ্গে কথা বন্ধ করেছ কেন ? কারণটা ভাল বুঝলাম না। সুনীল একটু হাসে। কারণ ? কারণ ওর একওঁয়েমি, সঙ্কীর্ণতা। আসলে কথা বন্ধ করেছে নবীন নিজে। বড় বেশী তর্ক করত, আমি সেদিন আপিসে তাই অনুযোগ দিয়ে বলেছিলাম যে অন্যের সঙ্গে তর্ক করে আমায় কিছুদিন রেহাই দিক-কাজের কথা, দরকারী কথা ছাড়া আমার সঙ্গে যেন অন্য কথা না বলে। তাইতে চটে গিয়ে প্ৰতিজ্ঞা করেছে জীবনে কোনদিন আমার সঙ্গে কথা বলবে না । কিন্তু বদনামটা হয়েছে আমার । আমিই নাকি কথা বন্ধ করেছি। e VN)