পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাই যদি বলে। তবে আর তিনটে টাকা দিয়ে ওটা কিনে দাও-খুসী মনে ভাল করে পড়াশুনা করব । না । তোমার এ দুর্বলতাকেও প্রশ্ৰয় দিতে পারব না । আল্পনা বােনের পক্ষ নিয়ে বলে, কি বলছি তুমি ? তের টাকারটা পরলে দুর্বলতা হবে না, ষোল টাকারটা পরলেই হবে ? সুনীল বলে, হবে না ? তের টাকারটা কিনে দিচ্ছি বাধ্য হয়ে, কলেজে পড়াতে হলে না দিয়ে উপায় নেই। অন্য মেয়ের ভাল শাড়ী পরে আসবে, সেজন্য ওকে দায়ী করা যাবে না। সস্তা শাড়ী পরে যাবার মত মনের জোর ওর নেইকিন্তু সেটা দুর্বলতা নয়। তের টাকায় যেখানে চলে সেখানে সখের জন্য ষোল টাকা লাগানোটা দুর্বলতা । বাবা তোমার কি হিসেব ! হিসেব করি বলেই কলেজে পড়তে পারছি। মিছে আব্দার করিস নে কল্পনাষোল টাকা কেন সাড়ে তের টাকা হলেও আমি ও কাপড়টা তোমায় কিনে দিতাম না । O কিন্তু এবার ছাড়ে না কল্পনা। সেও তো সুনীলেরই বােন। না খেয়ে শুয়ে থেকে ভূপেশের কাছে তিনটি টাকা আদায় করে সুনীলের কেনা কাপড় বদলে সাধের কাপড়টি কিনে আনে । সুনীল রাগে না, কিছু বলে না। ফিরেও তাকায় না। মা। তবু মিনতি করে বলে, যেতে দে, কিছু বলিস না ওকে। ছেলেমানুষ তো ! সুনীল গম্ভীর হয়ে বলে, আমার কি বলার আছে ? নিজে চেষ্টা করে টাকা যোগাড় করেছে, আমি তো বাড়তি টাকা দিইনি । সামান্য ব্যাপারে বাপের উপরেও চটতে নেই। কিন্তু । চটব কেন ? মেয়েকে তিনটে টাকা দেবার স্বাধীনতা বাবার নেই ? Ke koja CPIVS Gİ সখের শাড়ীটা বাগানোর আনন্দ যেন বড় তাড়াতাড়ি উপে যাচ্ছিল। উদাসীন