পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ف কদিন অঘোরের মুখ দেখলেই বোঝা যায় খোড়া মেয়ে তার সচল বাপকে কাবু করেছে। রমেশের ব্যাপারের পর থেকে সে সন্দেহ করেছে যে মেয়ের এই বিদ্রোহাত্মাক দুবুদ্ধির পিছনে আছে সুনীল। ড্রাইভারের কাছে অবশ্যই সে খবর পেয়েছিল যে রাত করে বিভা সুনীলের বাড়ী গিয়েছিল। তারপরেই পঙ্গু বিভা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল, সে বিয়ে করবে না । শিক্ষিত বুদ্ধিমান সুদৰ্শন যুবক রমেশ, কত সাধারণ বাপের কত সাধারণ মেয়ে, আজকালকার দিনে একরকম একটা স্বামী জুটিয়ে দেবার জন্য, বাপের ভালবাসার পরিচয় পেয়ে কেঁদে ফেলে যে কেমন করে সে বাপকে ছেড়ে যাবে স্বামীর ভালবাসা ভোগ করতে-বিভা স্পষ্ট পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে এরকম বাজে লোকের বেী হওয়ার চেয়ে কুমারী হয়ে থেকে জীবনটা কাটিয়ে দেওয়া সে অনেক ভাল মনে করে। কি ফঁাদেই যে পড়েছে অঘোর ! খোড়া মেয়ে, বিকারগ্ৰস্তা মেয়ে। খোড়া হবার জন্যই সে বিশেষ অধিকার খাটাতে চায় তার বাপের উপর । মেয়ের নীতির হিসাব বাপকে মানতেই হবে। অন্ততঃ তার বিয়ের ব্যাপারে । রমেশ মেয়ের কাছে বাজে লোক কেন অঘোর বুঝতে পারে না । মেয়ে বুঝিয়ে CK PKNS AR বিভার জন্য তার একবিন্দু মায়া মমতা নেই। তবু তার বাপের টাকার লোভে সে তাকে বিয়ে করতে রাজী-সারাজীবন তাকে তোষামোদ করে চলতেও রাজী । এই জন্য সে নাকি বাদ লোক । N O R