পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার এখানের কাজটা হল কষ্টের, কেমন ? কাজ কষ্টের নয়। তবে একটা বাধ্য হয়ে করা, একটা কাজ নিজের খুলীতে করা। আপনার কাজে আমি ফাকি দেব না। যদি দেখি দু’দিক সামলাতে পারছি না, একটা ছেড়ে দেব। কোনটা ? আমার কাজ ? সুনীলের মুখে একটু হাসি ফোটে। আপনার কাজ ছাড়বার কি উপায় আছে ? কাগজ চলছে লোকসান দিয়ে, আমাকে এত বেতন দিয়ে ওরা কি রাখতে পারে ? অঘোর আচমকা বলে, তুমি যাবার পর কাগজটায় বড় কড়া কড়া কথা লেখা হচ্ছে। এতটা কি ভাল ? সুনীল বলে, অন্যায় অনাচারের সমালোচনা আর কত নরম হতে পারে বলুন- সেরকম সমালোচনায় লাভ কি ? আগে বরং এলোমেলো গালাগালি থাকত, আমি সেটা একেবারে বন্ধ করে . দিয়েছি। যুক্তি দিয়ে সিরিয়াসলি সমালোচনা হয় বলেই আজকাল লেখাগুলি কড়া মনে হয়। আগে ঢের বেশী কড়া কথা লেখা হলেও সস্তা গালাগালির জন্য সমস্ত লেখাটাই হাল্কা হয়ে যেত, 6ड5अन्म कएछ भन्म ठू\छ क्रा । বটেই তো, বটেই তো ! একটু চিন্তিত মুখেই সুনীল ফাইল হাতে নিজের জায়গায় ফিরে যায়। সে টের পেয়েছে, কোন একটা মতলব ভাজছে অঘোর, তারই সম্পর্কে ভঁজছে ! রবিবার ভোরে অঘোরের গাড়ী এসে দাড়ায় সুনীলদের বাড়ীর সামনে । লাঠিতে ভর দিয়ে নেমে আসে বিভা। খুড়িয়ে খুঁড়িয়ে সেদিনের মত ভিতরে যায় । বলে, বড়ই নাকি ব্যস্ত শুনলাম? না শুনলেও বুঝতে পারছি। নইলে অতবড় একটা ব্যাপারে পরামর্শ নিতে এলাম-আর তারপর খোঁজ খবর নেওয়া নেই। Sebo