পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুনীল বলে, খোঁজ খবর নেওয়া নেই ? রোজ তোমার খবর পাই। তোমার বাবার আপিসে চাকরী করি ভুলে গেছ নাকি ? আমি ভুলি নি, ভুলেছ তুমি । চাকরীটাি খসিয়ে মনে পড়িয়ে দিতে হবে মনে হচ্ছে । মনিবের মেয়ে, এত অবহেলা সইব না। আপিসের একটা কেরানীর। অবহেলা ? রোজ তোমার খবর নিই বলে ? মাসে একবারটি গিয়ে চোখে দেখে খবর আনো না বলে। বিভা হাসে । জানি জানি, তুমি খবরের কাগজ বার করেছ, তোমার চাদিকে নাম, কাজের তোমার অন্ত নেই। মনিবের মেয়ে হযেও তাই তো নিজে নীচু হয়ে এলাম। বিভী আবার একটু হেসে গভীর হয়ে যায়। বলে, তামাসা নয়, কি ব্যাপার বলত সুনীলদা ? কাল বাবা প্ৰায় এক ঘণ্টা তোমার সম্বন্ধে আমাকে জেরা করল। তোমার আদর্শ কি, জীবনে তুমি পলিটিক্স করতে চাও নাকি, খবরের কাগজে ভিড়েছি কেন-এমনি সব কত যে আবোল তাবোল প্রশ্ন । আমি সত্যি ভাবনায় পড়ে গেলাম। জগতে একটা মানুষ একটু নিম্বাৰ্থভাবে স্নেহ করে, বিপদে আপদে পরামর্শ দেয়, কি বলতে কি বলে ফেলে শেষকালে তার দফাটি রফা করব ! হঠাৎ তোমার সম্পর্কে বাবার এত কৌতুহল চড়ে গেল কেন ? সুনীল বলে, হঠাৎ যে খবরের কাগজে ভিড়ে গেলাম-কড়া কাগজ হল। তোমার বাবাই শুধু নন, আরও অনেকের কৌতুহল হঠাৎ চড়ে গেছে। তোমার কোন বিপদের ভয় নেই তো ? কাতর মুখে করুণ প্রশ্ন। সুনীলের কাছে বিভা আজ একেবারে সংযম হারিয়ে ফেলেছে। অথচ সুনীলের কাছেই প্ৰাণপণে সে নিজেকে বিচলিত বিগলিত হতে দেয় না, সুনীল পাছে মনে করে যে সে তার কাছে স্নেহ আর বন্ধুত্বের বেশী। আর কোন আশা রাখে । সুনীল নীরবে একটা সিগারেট ধরাতে বিভা সচেতন হয়। মুখখানা তার fE RC Stò y 09