পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুনীল বলে, তবে তো আর জবাব দেবার দরকার নেই। তুমি নিজেই বুঝতে পেরেছ পুরুষ মানুষের বিপদের ভয়ে কেঁচো বনে থাকলে চলে না। বিভা বলে, পুরুষমানুষ ! পুরুষমানুষ ! বড় অহংকার পুরুষমানুষের ! মেয়েমানুষ যেন মানুষ নয়! ছেলেবেলা থেকে এ অবস্থা না হলে একবার দেখিয়ে দিতাম মেয়েমানুষ ভেসে আসে নি। নিজে বাবার আপিসের ভার নিয়ে তোমায় হুকুম দিয়ে খাটাতাম । সুনীল বলে, এই তো ধাতে ফিরেছ ! তারপর হেসে বলে, বাবার আপিসের ভার নিয়ে ? তোমার বাবা বুঝি পুরুষমানুষ নন ? বিভা তর্জনী তুলে বলে, ছি! পৌরুষের অহঙ্কারে শেষে এই বুদ্ধি হল ৮ মেয়ের কাছে শেষে বােপকেও পুরুষ বানাবার চেষ্টা ? বাপের সম্পত্তি ছেলে পায়। আমি মেয়েছেলে হয়েও বাপের সম্পত্তি পাব, পুরুষকে টেঙ্কা দেব। বাবা পুরুষ না স্ত্রীলোক সে খবরে আমার কাজ কি ? সুনীল বলে, তুমি সত্যি আজ আমাকে লজ্জা দিলে । খবর আসে, লোক এসেছে। একজন, দু’জন নয়, পাচজন বিশিষ্ট বেশধারী ভদ্রলোক । সুনীল বলে, দেখলে ? রবিবার সকালটাও একটু রেহাই দেয় না। অবস্থা ভোরে বেরিয়েছিলে তাই সুনােল বাবুর সঙ্গে এতক্ষণ কথা বলার ভাগ্য शब् । न्शेळी- * , সুনােল শুধু গেঞ্জিটা গায়ে চড়িয়ে বাইরে যাওয়ার উপক্রম করে। বিভা বলে, গেঞ্জি নয়, পাঞ্জাবীটা গায়ে দিয়ে যাও । s সুনীল খানিকক্ষণ যেন অবাক হয়ে চেয়ে থাকে। তারপর সোৎসাহে বলে, ঠিক বলেছ! শচীন বঁধানে। দাঁত খুলে রেখে দুধে ভেজানো পাউরুটি মাড়ি দিয়ে পিয়ে খেতে مه لا لا