পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্পনা বলে, এত বিদ্যে হয়েছে তোমার ? যার বই সে আসতে ধীরল না, বলতে পারল না, তুমি দাদাকে হুকুম দিচ্ছি সমালোচনা লিখতে! আল্পনা বলে, দাদার সঙ্গে নবীনের যে কথা বন্ধ । কল্পনা বলে, তাহলে দাদাকে দিয়ে সমালোচনা লেখানোও বন্ধ । এই সুরাটাই এবার স্পষ্ট হয়েছে কল্পনার কথায় ব্যবহারে।--দাদার উপর দরদ। এ বাড়ীতে আসবার আগে থেকেই বোধ হয় মতলৰ এটে এসেছে যে এবার যতদিন বাপের বাউী থাকবে স্পষ্টভাবে গায়ে পড়ে দাদাকে দরদ দেখাবে। দাদা পছন্দ করুক বা না করুক ! প্ৰণব শ'দুই টাকার একটা চাকরী করে। এবার কথায় কথায় সে সুনীলকে সলজ্বভাবে জানিয়ে গেছে যে সে-ও একবার রাজনীতির ধার ঘেষে কিছুদিনের জন্য জেলে গিয়েছিল-ছাত্র বয়সে । সুনীলের কাগজটা পড়তে পড়তে নাকি মনটা আবার নাড়া খাচ্ছে তার। সুনীল বলেছিল, ঠিক দলগত পলিটিক্‌স নেই কাগজটার পিছনে। ওটা কোন দলের কাগজ নয় । প্ৰণব বলেছিল, তা হোক না । যারা দশজন সাধারণ লোকের পক্ষে থেকে তাদের স্বার্থে কথা বলছে, আপনারা তাদের কথাই তো বলছেন। ও মিলে যাবেই ; কমনম্যানের ইণ্টারেষ্ট যেই দেখুক-একাই দেখুক আর দল বেঁধেই দেখুক, বলতে হবে সেই এক কথাই । সুনীল বলেছিল, তুমি ঠিক বলেছ। আমি দলীয় কাগজ উড়িয়ে দিচ্ছি না, বলছি না ও সব কাগজ দরকার নেই। রাজনৈতিক দল হলে তার একটা কাগজও চাই। সে কাগজে দলের কথা বেশী থাকবে, দলের স্বাৰ্থ বড় হবে, সেটাও দোষের কিছু নয়। বরং উচিত কথাই। তবে এরকম একটা কাগজেরও দরকার এদেশেअमक क्ल किनां । সুনীল বলেছিল, কাগজ যারা পড়ে তারাও একটা দল কিন্তু । সংগঠিত নয়, केिळु व् ! SSW) ད།