পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেয়, দেখায় যেন সব কিছু হাসি তামাসার ব্যাপার। দিদি সামান্য * ব্যাপারে মুখ বাকায়, কথায় কথায় বিরক্ত হয়-অনেক সময় কথাই বলে না ভাল করে। প্ৰণববাবুও কেমন একটু দূরত্ব রেখে চলেন। খেতে বসে সুনীল গৌরীকে জিজ্ঞাসা করে, প্ৰণব একদিন থেকেই চলে গেল কেন ? দু’একদিন থেকে যেতে বলনি ? বলিনি ? কতবার বলেছি । থাকতে না চাইলে করব কি ! আপিস তো এখান থেকেই করতে পারে। একটা চিঠি লিখে দিই, রবিবার দুপুরে এখানে খাবে, কি বল ? গৌরী কিছু বলার আগেই কল্পনা বলে বসে, থাকগে না, অতি খাতির না। করলেও চলবে । সুনীল বলে, তার মানে ? নতুন জামাইকে খাতির না করলেও চলকে কিরকম ? কল্পনা বলে, ভারি তো একটা মানুষ। লেজ গুটিয়ে গুটিয়ে নিজেই ছুটে ছুটে আসবে দেখো তোমার কাছে। 尊 বোনের মুখের ভাব লক্ষ্য করে সুনীল চিন্তিতভাবে খেয়ে যায় । মুখের কথায় শুধু নয়, কল্পনার মুখের ভাবেও প্রণব সম্পর্কে দারুণ অবজ্ঞার ভাব 2 CoCRC5 গভীরভাবে তালিয়ে না বুঝুক, নব বিবাহিতা বোনটির জীবনের কঠিন সমস্যাটা আল্পনা ধরতে পেরেছে ঠিকই। প্ৰণবের সঙ্গে সাধারণভাবে কল্পনার কথা ও ব্যবহার লক্ষ্য করে, স্বামীর উপর তার শ্রদ্ধার অভাবটা ধরা আরও সহজ হয়ে গেছে তার পক্ষে । কিন্তু এই অবজ্ঞা ও অশ্রদ্ধাপূর্ণ মনোভাবের কারণ কি কাির ? নিজে সে প্ৰণবের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছে, তাব সঙ্গে আলাপ পরিচয় করেছে বিয়ের আগে। তাকে তো হাল্কা ফাজিল ছোড়া মনে হয় নি, যে বিয়ের পর তাকে কল্পনার পক্ষে মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধ করা সম্ভব হয় না । > > ケ