পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বাস করি তো । আমার সর্ত খুব সোজা। যতই হোক তোমরা যোয়ান ছেলে মেয়ে তো, রক্ত তোমাদের গরম । ওর একটা সেফগার্ড রাখব যে কোন লেখা আমি বাতিল করলে সেটা ছাপা হবে না। আরেকটা সর্ত খুব বাজে ঠেকবে-নেতিবাচক । কাগজে আমেরিকাকে গাল দেওয়া চলবে না । সুনীল বলে, কাগজের মালিকের সঙ্গে আলাপ করে আপনাকে জানাব। কাগজের মালিক কে ? একটা ফাজিল মেয়ে। কাগজটা ওর স্বামীর। ওকে না জিজ্ঞাসা করে কিছু বলতে পারছি না। আপনাকে । সুনীল উঠে যাবার পর অঘোর জানাল দিযে বাইরে তাকিয়ে থাকে। রাত প্ৰায় সাড়ে এগারোটা র সময় শেষবার সম্পাদকীয় প্ৰবন্ধটার প্রািফ দেখে দিয়ে সুনীল ভাবছে যে এখন বাজী ফেরার চেষ্টা করাই শক্তির অপচয়, দুঘণ্টা ধরে চেষ্টা করে বাড়ী ফিরে খেয়ে দেয়ে অভ্যস্ত বিছানায় শুয়ো হয তো ঘুম আসবে না। তার চেয়ে এখানে কিছু আনিয়ে খেয়ে, এখানেই রাতটা কাটাবার ব্যবস্থা করলে, অতদূরে বাড়ী ফেরার শক্তিক্ষয়টা বেঁচে যায়। 5न् डश् ऊठ् । লুচি আর মাংস নিয়ে আসে। বলে, বোকা হলে বাড়ীতে নাক ডাকিয়ে ঘুমোতাম। কিন্তু দেখছ তো, মানুষকে খাটিয়ে নেবার কায়দা জানি । কি রকম খিদে পেয়েছিল এতক্ষণে যেন টের পাওয়া যায়, হাত ধুয়েই সুনীল তাড়াতাড়ি খেতে আরম্ভ করে । তাকিয়ে দেখে নন্দ বলে, যতই হিসেবী হোক, নিজের পেটের হিসাবটা পুরুষের খেয়াল থাকে না। আর সব কিছু ভাবতে পারলে, রাত্রে খিদে পাবে এটা মনে পড়ল না কেন ?