পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিশ্চয় বিবেচনা করে দেখব। তোমার ভুল করার অধিকার তো আমি কেড়ে নিইনি । অনিল একটু চুপ করে থেকে বলে, কাল বলব। সে চলে গেলে মায়া ক্ষুব্ধ স্বরে বলে, রেবার এবার ওবেচারাকে রেহাই দেওয়া উচিত। সুনীল বলে, গ্লায়ের জাল মিটছে না যে। আমার অপমানের শোধ নিচ্ছে। আমার কাছে পাত্তা পায় নি, গায়ে জাল ধরেছিল । তার শোধ নিচ্ছে। মায়া ক্রুদ্ধ হয়ে বলে, এ কিরকম শোধ নেওয়া ? নিজের ঘাড়েও তো পড়ছে । যখন সামলাবার দরকার হবে তখন কি করবে ? সে বিবেচনা যার থাকে তার কি মিছামিছি গায়ে জাল ধরে ? ও বেচারাদের দোষ নেই। ঘরে বাইরে সিনেমায় খালি ভাবুকতাই তো শেখানো হয়। মেয়েরা আরও বেশী। টস টস করে ভাবে। তুমিও তো মেয়ে ? মায়া একটু হাসে। আমিও মাঝে মাঝে গদ গদ হই বৈকি। পড়াশোনা নিয়ে থাকবে অথবা রোজগার করতে নামবে এ বিষয়ে অনিল তার সিদ্ধান্ত পরের দিন জানবে বলেছিল। কে জানে সে মনস্থির করতে পারে না, অথবা সুনীলকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে ভুলে যায়। দিন তিনেক পরে কল্পনাকে প্ৰণব নিতে আসে । কল্পনা সোজাসুজি জানিয়ে দেয়, আমি কদিন বাদে যাব । ওদিকে অসুবিধা হচ্ছে। হোক না একটু অসুবিধা। দু’জনের কথা কাটাকাটি বাইরে থেকে শোনা যায়। প্ৰণব যে রাগ করেছে, টের পেতে বাকী থাকে না বাড়ীর লোকের ৷ তা, একদিনের জন্য বাপের বাড়ী SQ