পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখে বেরিয়ে, মেয়ে চুড়ি বেচে টেনে নিয়ে গেল, সেদিনটা বেচারা সামলাতে পারে নি। তা পারেও না । কিন্তু নিজেকে ওরকম সন্তা করার জন্য ষে ধ্যাতানি অনিল দিয়েছে, একেবারে হাড়ে হাড়ে ব্যাপার টের পেয়ে গিয়েছে মেয়ে । অনিল কি বলেছিল জানো ? আজ আমার সঙ্গে খারাপ হবে, তোমাদের মত মেয়েকে বিশ্বাস করা যায় না। অনিল যদি শক্ত না হত, দু’মাস যদি তুচ্ছ করে না। রাখত, ও হারামজাদি কি বুঝতে পারত, কত ধানে কত চাল ? সুনীল বলে, ললিতের সঙ্গে সিনেমায় যায় বলে নাকি অনিল রাগ করেছিল ? মায়া বলে, ললিতকে ধরেছিল। পরে-আনিলকে একটু কাবু করার আশায়। বাড়ীতে বলে যেত। সিনেমায় যাচ্ছিা-অনিল যাতে খবর পায় । আসলে ললিতের সঙ্গে মেয়ে যেতেন মিটিং-এ । ললিতের সিনেমা দেখার রোগ নেই। সুনীল আশ্চর্য হয়ে প্রশ্ন করে, এসব কথা। অ্যাদিন আমায় বলনি যে ? মায়া বলে, ভয় হত। তুমি তলিয়ে বুঝবে কিনা কে জানে ? তোমার ভাই আমার ছেলেমানুষ বোনকে নষ্ট করেছে—তুমি হয় তো ধরে নেবে এটাই । খুন করেই হয় তো ফেলবে ভাইকে ; আমি তো জানি ছায়াই আসলে দোষী । সুনীল আরেকটা সিগারেট ধরায় । তুমিও আমার সম্বন্ধে এরকম ধারণা করে রেখেছে ? বিচার বিবেচনা না। করেই ভাইকে খুন করে ফেলতে পারি ? আমার মায়া-দয়ার বালাই নেই ? भांश दल, अigों डांझे उठांदडोंभ । ব’লে গা লেষে এসে সুনীলের গলার কাছে ছোট যে ফোড়াটা উঠছে, সেটাকে সন্তৰ্পণে আঙ্গুল দিয়ে পরীক্ষা করে আবার বলে, কিন্তু দেখতে পাচ্ছি। তোমার মায়া-দয়াটাই বেশী। একজন দু’জনকে নিয়ে মায়া-দয়া পোষায় না তোমারী-মায়া-দয়া কারবারটা তোমার দশজনকে নিয়ে বড় স্কেলে । আমরা ছোট স্বাৰ্থ নিয়ে কারবার করি তোতোমায় ঠিক বুঝে উঠতে পারি না । নন্দা খবরের কাগজের অফিসে গভীর রাতে গিয়ে, তোমায় খাইয়ে দাইয়ে ঘুম পাডিয়ে আসে। শুনে ভেবেছিলাম-বাইরের মেয়েই তোমার ভাল লাগে, যে মেয়ের কোনরকম দায় ঘাড়ে চাপার ভাবনা থাকে না। কিন্তু 8\ማዕ8