পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুঝতে পারছি আমার ভুল হয়েছিল। কোন মেয়ের কোনরকম দুঃখ কষ্ট্রের দায়িক হতেই তোমার দারুণ অনিচ্ছা। নিজের হাঙ্গামা এড়ানো নয়, তুমি কষ্ট দিতে চাও না । So নবীন উদ্যোগী হয়ে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে মিলে একটি মাসিকপত্র বার করেছে, --নাম দিয়েছে ‘নব-আল্পনা’ । প্ৰথম পাতাতেই একটি কবিতা ছাপিয়েছে আল্পনার, -কঁচা মেয়েলি কবিতা । আল্পনা একটু ভয়ে ভয়েই কাগজট! সুনীলকে দেখায়। নাম সম্পর্কে সে আপত্তি করেছিল, নবীন কাণে তোলে নি । নামটা নিয়ে জানাশোনা ছেলেমেয়েদের মধ্যে বেশ খানিকটা কানাকানি হাসাঁহাসি সুরু হয়েছে। কেউ কেউ বলছে যে, সঙ্কোচাটুকু বাদ দিয়ে ‘নব” কথাটার বদলে ‘নবীন’ বসিয়ে দিলেই চুকে যেত। সুনীলও সেটা খেয়াল করে জিজ্ঞাসা করে, এটা নবীনের ইয়ার্কি হল, না ছেলেমানুষী ? এ বুদ্ধিটুকু নিশ্চয় আছে ? নবীন নামে একটা ছেলের, চেনা আছে আল্পনা নামে একটা মেয়ের সঙ্গে ; সে যদি হঠাৎ এরকম নাম দিয়ে একটা কাগজ বার করে, লোকে হাসাহাসি করবে না ? আল্পনা মাথা হেঁট করে থাকে । সুনীল বিরক্ত হয়ে বলে, কি ব্যাপার ? নাচতে নেমে ঘোমটা টেনে না, খোলাখুলি কথা বল। আল্পনা মৃদুস্বরে বলে, নবীন বলছিল, হাসাঁহাসি বন্ধ করার সহজ উপায় আছে, আমাদের এনগেজমেণ্ট ঘোষণা করে দেওয়া । SV)