পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীন ওসব হিসাব করে নি। আল্পনাকে পাওযা সম্পর্কে সে এতখানি সুনিশ্চিত যে, সেই আত্মবিশ্বাস থেকে তার সখ হয়েছে। কাগজটার ওই নাম দেওয়ার এবং ওই নামকরণের মধ্যে দোষের বা অসুবিধার কিছুই সে খুজে পায় নি। দরকার হলে সবাইকে জানিয়ে দিলেই হল যে, এর মধ্যে লুকোচুরির ব্যাপার কিছু নেই, তারা সত্যই ‘এনগেজ ড’ । এত বাজে বই পড়ে আর সিনেমা দেখেও ছেলেমেয়েরা ভাবুলুতা। বর্জন করার এত ক্ষমতা কোথা থেকে পায়, ভেবে মায়া আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল। আজ সুনীলও আশ্চৰ্য্য হয়ে যায়। একটা কথা মনে পড়ায় আল্পনাকে ডেন্সে পাঠিয়ে সে জিজ্ঞাসা করে, তুই কি পড়া ছেড়ে দিবি ভাবছিস ? বাঃ রে, পড়া ছাডব কেন ? চাকরী করছে, আমার পডার খরচটা যোগাতে পাববে না ? এসব পবামর্শও হয়ে গেছে বুঝি ? তাহলে আর দেৱী করে লাভ কি ? নবীনকে বলিস তো আমার সঙ্গে যেন দেখা করে। বোনের বিয়ের মত এত বড় একটা ব্যাপার নিয়ে মায়ার সঙ্গে কথা না বলে, অন্য কাজে মন দিতে মনটা খুত খুত করে সুনীলের। মায়া সব শুনে খাসী হয়ে বলে, এই তো চাই । একালের ছেলেমেয়েরা আত প্ৰেম প্রেম করে পাগল হয় না-প্ৰেম ছাড়াও যে অনেক কিছু আছে জীবনে এটা বেশ বোঝে। প্রেমকে হাজার ফেনিয়ে ফাপিযে তুললে কি হবে, ওরা ভুলছে না। নইলে ছায়ার মত আহলাদী মেয়ে পৰ্য্যন্ত এত শক্ত হতে পারে ? সুনীল বলে, দু’জনে খুব মিল হবে না বুঝতে পারছি। ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকবে। কিন্তু তার আর কি করা যাবে ? মায়া বলে, বটেই তো । মেয়ের বুদ্ধি আছে--বিসে যখন করবেই একজনকে, তার ঘাড়ে গিয়েই পড়ায় খরচটা চাপাই, বাপ-ভাইকে রেহাই দিই ! እve)ፖ"