পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখতে আরম্ভ করবে, উনি এসে কাগজটা কিনে নিয়ে তোমায় বঁচিয়ে দিতে চাইবেন । সুনীল বলে, সে তো বুঝলাম, ওটা উনি অনেকদিন থেকেই চাইছেন। কিন্তু আমি তো আজ নতুন কথা কিছুই বলি নি ? কয়েকদিন আমাদের কাগজ পড়লেই বোঝা যায় আমরা কি নীতি ধরেছি। সেটাই আমি সহজ ভাষায় বুঝিয়ে বলেছি অঘোরবাবুকে । মায় বলে, কাগজ পড়ে জানা আর তোমাৰ মুখে শোনার মধ্যে অনেক তফাৎ। কাগজে তুমি কি উদ্দেশ্যে কি নীতি খাটােচ্ছ তাতো সব লোকে জানবে না ? অঘোরবাবুর মত লোকেরা ধরেই নেবে একটা কোন মতলব হাসিল করার জন্য তুমি একটা নীতি ধরেছি, দরকার হলে অদল বদল করবে। কিন্তু তোমার মুখ থেকে শোনা মানেই উনি জেনে গেলেন। ওই নীতিঢ়ি আঁকড়ে থাকাই তোমার উদ্দেশ্য । সুনীল ভুরু কুঁচকে তার মুখের দিকে চেয়ে থাকে। মায়া আবার বলে, এই নীতি তুমি কিছুতে ছাড়বে না, ওঁর সঙ্গে কোনমতেই আপোষ করবে না, এটা আজ উনি পরিষ্কার স্পষ্টভাবে জেনে গেলেন। তুমি কতটা শক্ত হবে এটা ওর ধারণা ছিল না। তুমি আজ ভেতরের কথা ওর কাছে ফাস করে দিলে । স্বজনীল বলে, তোমার কথাটা মানতে হচ্ছে । কাজেই ছেলেমানুষী করলে না ? ওর নানা রকম খটকা ছিল, কতটা চাপ দিতে হবে জানতেন না, আজ জেনে গেলেন আপোষে কিছু হবে না, তোমাকে ভাঙ্গতেই হবে । তোমার তো খুব ধারাল বুদ্ধি ! ধারাল বুদ্ধি নয়। এসধ সাধারণ সাংসারিক জ্ঞান ছাড়া মেয়েমানুষের চলে না। दाऊँी क्लिाद ना अiछ ? ফিল্লব। চলে তোমার সঙ্গেই যাচ্ছি। আজ বাড়া গিয়ে একচোট ঘুমোব । টাকার চিন্তাটাকে বড় বেশী প্রশ্ৰয় দিচ্ছি। S\N9