পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না মেয়ের জীবনে। শুধু এটাও নয়—আরও ভাববার কথা আছে! কদিন ভেবে দেখা যাক । সবকিছুই যেন দাড়িয়ে যেতে চায় জটিল সমস্যায় ! অনিল আর ছায়ার সম্পর্কে শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এটাই তাদের ধারণা ছিল। দুজনে যোগ্যতার পরিচয় দিলে ভবিষ্যতে বিয়ের কথা ভাবা যাবে, এখন ও বিষয়ে চিন্তা করারও প্রয়োজন নেই। কিন্তু দেখা যায় এত সহজে সমস্যা এড়ানো যায় না । মায়া বলে, এতো আরেক বিপদ হল ! কি বিপদ ? ছায়াকে সব বুঝিয়ে বললাম। ওর বিষয়ে ব্যবস্থার কথাও বললাম ! মেয়ে বলছে তা হবে না । সুনীল আশ্চর্যা হয়ে বলে, বিয়ে হবে না জেনেও বলছে ? মায়া বিব্রতভাবে বলে, বলছে বৈকি ! সোজা স্পষ্ট-না। বলছে, ও ভুল করেছে, বোকামি করেছে, কিন্তু এমন কোন পাপ করে নি যে, সেজন্য আরেকটা অন্যায় করতে হবে । মেয়ে আমাকে পট পট করে কত কথা শুনিয়ে দিলে ! কোন মুখে আমরা বলছি। এটা বিজ্ঞানের যুগ-আবার আমরাই সেকেলে অসভ্য ব্যবস্থা ধরছি। বিজ্ঞানের যুগে বুঝি অকারণে ভবিষ্যৎ একটা মানুষকে খুন করা হয়! আমরা সেকেলে তাই আমরা কথাটা ভাবতে পেরেছি। অনায়াসে বলেছে, খুসী হলে ওকে তাড়িয়ে দিতে পারি, ও নিজের ব্যবস্থা করে নেবে। বটে ! কি বললে শুনবে ? বললে, মরবি তো আর না, কত নিরাশ্রয় উদ্বাস্তু মেয়ে চাল বেচে গতির খাটিয়ে নিজেদের বঁচিয়ে রেখেছে । সুনীল বলে, এসব অনিলের শেখানে কথা । আমাদের ওপরে bा° gिष्छ । SAR