পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া বলে, নরম হতে হবে নাকি আমাদের ? মেয়ে কিন্তু গো ছাড়বে না। মনে হচ্ছে । ভালই তো। দু’জনে পরামর্শ করে যদি এটা ঠিক করে থাকে, শুধু আমাদের চাপ দিয়ে কাবু করার জন্য না করে থাকে, তার চেয়ে আনন্দের কথা কি হতে পারে বলো ? যারা বিগড়ে গেল বলে আপশোষ করছিলাম, যাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা করছিলাম, তারা প্ৰমাণ দিচ্ছে মনুস্যত্বের । কোন অন্যায় তারা করে নি, কোন জোড়াতালি ব্যবস্থা মানবে না। এতটা মনের জোর যদি ওরা দেখাতে পারে তবে তো কোন ভাবনাই থাকে না ওদের সম্পর্কে । একটু থেমে বলে, আমরা নরম হব না। ওদের দায়-আমরা উদ্ধার করে দেব না । তা হলেই সব কেঁচে যাবে। আমরা সাহায্য করব, যত রকমে পারি করব।--কিন্তু লন্ডাই করে উঠতে হবে ওদের । সে জন্য দু’তিন বছর সময়ও যদি লাগে, কি এসে যায় ? মায়া নিশ্বাস ফেলে বলে, মা বাবাকে নিয়েই সমস্যা ! ওরা না হার্টফেল করে ! ...) সুনীল বলে, আজ আশা হচ্ছে অতদূর গড়বে না। অনিল যা হােক কিছু রোজগার করছে । আমি ওকে জানিয়ে দেব যে ওই টাকায় ছায়াকে নিয়ে বাস্তর ঘরে যদি চালাতে পারে, আমি সংসারের জন্য কিছু চাইব না । কল্পনার সমস্যা সহজ মনে হলেও মোটেই সেটা সহজ নয়। এমন কোন জটিল মানসিক বিকার প্রণবের সঙ্গে তার বনিবনা না হবার কারণ নয় যে, সেটা বুঝবার জন্য সূক্ষ্ম মনস্তত্ব ঘাটা দরকার হয়। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে রুচির পরবর্তনটাই তার অসুখী হওয়ার জন্য দায়ী। সিধা পথে বাধা নিয়মে তো ঘটে না পরিবর্তন-না বাস্তবতার না মানুষের রুচি প্ৰকৃতির। ভাসা ভাসা বিচার করলে মনে হবে বুঝি একটা বিরাট এলোমেলো SAVO