পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

; ; মায়া চলে যাবার পর নবীন আসে। স্কট্ৰল তখন স্নান করে খেতে বসেছে। নবীন চটের আসনটা টেনে বিছিয়ে জাকিয়ে বসে জিজ্ঞাসা করে, কথাটা কি সত্যি সুনীলদা ? আপনি বিভাদিকে বিয়ে করছেন ? সত্যি বৈৰি । তুমি যথাসময়ে দু'পক্ষের নেমন্তান্ন পাণে । নবীন বলে, সে তো পাবই। অঘোর-বাবুর কাছে খৰ্ব্বকুটা যাচাই করতে দিল। অঘোরবাবুর নাকি সন্দেশ সয় না, মিষ্টি জিনিষ খাওয়া বারণ। বিভাদির সামনে অঘোরবাবু আমার পচিশ টাকা মাইনে বাডিয়ে দিলেন। ভালই তো । আমি রিজাইন দেব ভাবছি। ভেবেচিন্তে যদি রিজাইন দেওয়া ভাল মনে কর, রিজাইন দেধে । আল্পনা চা এনে দেয়। কিন্তু নবীনের সঙ্গে কথা বলা চলে না । নবীন গরম চায়ে চুমুক দিয়ে জিভ পুডিয়ে স্থানিকক্ষণ মুখ বাঁকিয়ে থেকে বলে, আপনি বিভাদিকে বিয়ে করছেন বলেই আমার মাইনে বাড়াল। অঘোরবাবু নিশ্চয় ধরে নিয়েছেন আমি ঘটকালি করে বিয়েটা ঘটিয়েছি। অঘোরবাবু জানেন যে থেকে সুরু করে অঘোরবাবুর অনেকগুলি স্পাই আছে। সুনীল চিচিঙ্গার ছেচকি দিয়ে শক্ত মোটা ভাত মাগতে মাখতে বলে, ভালই তো হয়েছে। নবীন বলে, আপনি তো বলবেন। उॉनरे হয়েছে । আমার মন যে উল্টো কথা বলছে ? আপনি অঘোরবাবুর মেয়েকে বিয়ে করবেন, আমার পচিশ টাকা মাইনে বাড়ল-আপনার বোন আগেই বলেছিল কাজে রিজাইন দিয়ে আপনার কাগজে যোগ দেওয়া উচিত ছিল । আমি তা করিনি বলে আপনার বোন আমার সঙ্গে কথা বন্ধ করেছে । S) Sኳ”